বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের ( india) পাল্টা হিসাবে কাশ্মীরের ( kashmir) আবহাওয়ার খবর দিতে গিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়ল পাকিস্তানের ( Pakistan) আবহাওয়া (weather) দপ্তর। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গুলিয়ে ফেলল তারা। অবশেষে সেই ভুল শুধরে দিল টুইটার।
রবিবার পাকিস্তানের জম্মুয়ের লাডাখ, পুলওয়ামার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়াও শুরু করেছে। পাকিস্তান রেডিও লাদাখের তাপমাত্রা সম্পর্কে টুইট করতে গিয়ে লিখেছে লাদাখের সর্বাধিক তাপমাত্রা -4 ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -1 ডিগ্রি। যার উত্তরে টুইটার পাকিস্তানকে জানায়, “এটি ভুল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা -১ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -৪ ডিগ্রি হওয়া উচিত।” পাকিস্তান রেডিওও জম্মু ও পুলওয়ামার আবহাওয়া সম্পর্কেও টুইট করেছিল।
In most parts of Indian occupied Jammu and Kashmir, partly cloudy #weather is expected with chances of rain https://t.co/zBtTQqaR6G #OccupiedKashmir
— Radio Pakistan (@RadioPakistan) May 10, 2020
In #Jammu, the maximum temperature is 36 degree centigrade & minimum temperature is 24 degree centigrade https://t.co/zBtTQqaR6G #OccupiedKashmir #weather
— Radio Pakistan (@RadioPakistan) May 10, 2020
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান অধিকৃত গিলগিট, মিরপুর ও মুজফফরাবাদের আবহাওয়ার খবর ও সম্প্রচার করতে হবে ভারতের সংবাদমাধ্যম গুলিকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। আনুষ্ঠানিক ভাবে তিন মাস আগে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রককে প্রস্তাবটি দেন ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রাজেন্দ্র খান্না৷ প্রস্তাব দেওয়া হয় আইবি ও RAW -কেও। অবশেষে তা কেন্দ্রের অনুমোদন পেয়ে সম্প্রচারিত হচ্ছে। যার পাল্টা হিসাবে পাকিস্তান সরকারও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
Comprehensive weather report from across the entire territory of India. Click on the link for complete weather report. https://t.co/owMyKfURdD pic.twitter.com/63Efu375VY
— Prasar Bharati News Services & Digital Platform (@PBNS_India) May 8, 2020
১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজন-এর সময় মহারাজা হরি সিং এর নেতৃত্বাধীন জম্মু ও কাশ্মীর (পূর্বতন করদ রাজ্য) স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে অবস্থানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সে সময় রাজার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এক বিদ্রোহকে উস্কানি দিয়ে পাকিস্তান মদতপুষ্ট বাহিনী কাশ্মীরের পশ্চিমাংশের দখল নেয়।
অক্টোবর ২৬, ১৯৪৭ এ রাজা ভারত অন্তর্ভুক্তির চুক্তিপত্র সই করেন এবং ভারতের সামরিক সাহায্যের প্রত্যাশা করেন। অবশেষে ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেয়।