বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড় অদ্ভুত সম্পর্ক ভারত-পাকিস্তানের (India Pakistan)। কখনও বর্ডারে কাশ্মীর দখলের লড়াই আবার কখনও বলিউড গানের সুরে দুদেশের মিলেমিশে এক হয়ে যাওয়া। এভাবেই কাটছে বছরের পর বছর। হাজার বিভেদ থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় শিল্পীরা একপ্রকার সুপারস্টার সেদেশের মানুষের কাছে। একটা সময় লতা মঙ্গেশকরের (lata mangeshkar) বদলে ভারতকে কাশ্মীর অবধি ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান।
তখন এত তারকার ভীড় ছিল না বাজারে। সেই সময়ে সুরের তরঙ্গে দুই দেশই কাঁপাচ্ছেন লতা। দেশ ভাগ হল। বদলে গেল লতাপ্রেমীদের পায়ের নীচের জমির পরিচয়। কিন্তু বদলালো না লতার কন্ঠে সুরের প্রতি ওই মুগ্ধতা। শুধুমাত্র লতা মঙ্গেশকর ভারতে থেকে গেছেন বলে জীবন বৃথা অবধি মনে করতেন পাকিস্তানের বহু লতা প্রেমী। তাঁদের তখন একটাই দাবী, লতা মঙ্গেশকরকে যেকোনো ভাবেই হোক পাকিস্তানে চাই৷
এহেন পরিস্থিতিতে একটি চিঠিও আসে অল ইন্ডিয়া রেডিওর অফিসে। সেই চিঠিতে বলা হয়, ‘হিন্দুস্থান কাশ্মীর রাখলে, লেকিন লতা মঙ্গেশকরকো পাকিস্তানকো দে দিয়া যায়’, অর্থাৎ ভারত কাশ্মীর নিয়ে নিক, বদলে শুধু লতা মঙ্গেশকরক্র দিয়ে দেওয়া হোক পাকিস্তানকে। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, গায়িকা নুরজাহানের মতন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদেরও স্বাক্ষর ছিল সেই চিঠিতে।
একটি বক্তব্যে পরবর্তীতে নুরজাহান জানিয়েছিলেন, ‘লতা মঙ্গেশকর এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁর মতন কেউ জন্মায়নি আজ পর্যন্ত’। সুর সাম্রাজ্ঞীর সুরের সাম্রাজ্য যে কাঁটাতার মানেনি, এই ঘটনা তারই জ্বলন্ত উদাহরণ।স্বয়ং দেবী সরস্বতী অধিষ্ঠান করতেন তাঁর কন্ঠে।
এহেন সুরেলা গলা যেন প্রকৃতিকেও থামিয়ে দিতে পারত কয়েক মুহুর্তের জন্য। তাঁর গলা নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। গবেষনার কাজে লতার ভোকাল কর্ড আমেরিকাতে রাখা হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। অনেকেরই মতে একই দিনে দুই সরস্বতীর বিসর্জন হল আজ।