বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের (Financial Crisis) মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এমনকি, সেদেশের সরকারের কাছে দেশের মানুষদের খাদ্যসংস্থানের পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মত অর্থটুকুও নেই। সরকারের এহেন কঠিন পরিস্থিতির বিষয়টি সামনে এনেছেন স্বয়ং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ। এই প্রসঙ্গে এএনআই নিউজ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, বর্তমানে নির্বাচনের জন্য অর্থ মন্ত্রকের কাছে কোনো ফান্ড নেই।
পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, ওয়াশিংটনে স্থিত IMF-এর কাছ থেকে ১.১ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজনীয় অর্থের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। আপাতত দেশটি বড়সড় অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন। পাশাপাশি, পাকিস্তান বিপুল বৈদেশিক ঋণ, দুর্বল স্থানীয় মুদ্রা এবং ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারের সম্মুখীন হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, IMF ফান্ডিং আনলক করার জন্য ইতিমধ্যেই চুক্তির পূর্বশর্ত অনুযায়ী বেশ কয়েকটি নীতিগত পদক্ষেপের বাস্তবায়ন করেছে। তবে এখনও তারা পাকিস্তানের জন্য ফান্ড জারি করেনি। এমতাবস্থায়, সম্প্রতি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ঘোষণা করেছেন যে, সরকার বিত্তশালী উপভোক্তাদের কাছ থেকে জ্বালানির জন্য আরও বেশি চার্জ নেবে। পাশাপাশি, সেই অর্থ মুদ্রাস্ফীতির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের ভর্তুকি হিসেবে দিতে ব্যবহার করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
IMF-এর সামনে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান: এদিকে IMF জানিয়েছে যে, এহেন ঘোষণার আগে তাদের সাথে পরামর্শ করা হয়নি এবং তারা চুক্তিতে স্বাক্ষরের আগে এই বিষয়ে ব্যাখ্যাও চেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই যোজনায় ধনী এবং দরিদ্রদের দ্বারা প্রদত্ত মূল্যের মধ্যে প্রতি লিটারে প্রায় ১০০ টাকার (৩৫ আমেরিকান সেন্ট) পার্থক্য রয়েছে।
পাশাপাশি, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী মুসাদিক মালিক জানিয়েছেন যে, তাঁর মন্ত্রক এই বিষয়ে কাজ করছে। তিনি আরও জানান, এটি কোনো ভর্তুকি নয়, বরং ত্রাণ কর্মসূচি। মালিক বলেন, “যাঁরা বড় গাড়ির মালিক তাঁরা ছোট গাড়ির মালিকদের তুলনায় বেশি অর্থ প্রদান করবেন। ছোট গাড়ি গুলির ক্ষেত্রে বেশি জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। যার ফলে মানুষের জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ির প্রসঙ্গে সচেতনতা বাড়বে।”