বাংলা হান্ট ডেস্ক : আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান (Pakistan)। খাদ্য শস্য নিয়ে চলছে হানাহানি। লোন দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে চিন (China), আরবের (Arab) মতো বন্ধু রাষ্ট্রগুলি। বালোচ সিন্ধে চলছে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। এরই মধ্যে পাকিস্তানের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে জঙ্গি হামলা। একের পর এক জঙ্গি হামলায় দিশেহারা পাক প্রশাসন।
জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র পাখতুনখোয়া এলাকায় বিগত তিন মাসে মোট ২৫টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। এই হামলায় মোট ১২৫ জন নিরাপত্তারক্ষী মারা গেছে। আহতের সংখ্যা আরও ২১২। এই হত্যাকাণ্ডগুলি অধিকাংশই ঘটিয়েছে পাকিস্তানের তালিবান।
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ক্রমাগত তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পাখতুনখোয়া এলাকায়। জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় চিনের এক নাগরিককে অস্ত্র সমেত গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির কাছে ১৪টি কার্তুজ সহ একটি অবৈধ পিস্তল পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের লাক্কি মারওয়াত জেলায় জঙ্গি হামলায় পুলিসের চার সদস্য নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পুলিসের ছয় সদস্য। নিহতদের মধ্যে একজন ডেপুটি পুলিস সুপার। গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে।
পুলিসের এক মুখপাত্র বলেন, লাক্কি মারওয়াত জেলার সদর পুলিস স্টেশনে জঙ্গিরা হামলায় চালায়। একপর্যায়ে জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এই খবর পেয়ে ডেপুটি পুলিশ সুপার ইকবাল মোহাম্মদ তাঁর টিম নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যান সহায়তার জন্য। ডেপুটি পুলিস সুপারকে বহনকারী গাড়িটি দুর্গম পিরওয়ালা মোড়ে পৌঁছালে দূরনিয়ন্ত্রিত রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ইকবাল মোহাম্মদ ও গাড়িতে থাকা পুলিসের তিন সদস্য নিহত হন। নিহত পুলিস সদস্যরা হলেন কেরামত, ওয়াকার ও আলী মারজান।