‘শুধু আমেরিকাকে জানিয়েছিলাম’, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে সুর বদল পাক বিদেশমন্ত্রীর

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত-পাকিস্তান (Pakistan) সংঘর্ষ নিয়ে এখনও চলছে বিতর্ক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক বার দাবি করেছেন, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি নাকি তিনিই করিয়েছেন। যদিও ভারতের তরফে স্পষ্ট ভাবে কোনও তৃতীয় পক্ষের অন্তর্ভুক্তির কথা অস্বীকার করা হয়েছিল। তবে এবার পাক বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে নতুন করে ছড়াল চাঞ্চল্য। পাক (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার দাবি করলেন, যুদ্ধবিরতির জন্য কাউকে মধ্যস্থতা করার কথা বলেনি পাকিস্তান। তবে আমেরিকাকে জানানো হয়েছিল যে তাঁরা যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষে।

কী বললেন পাক (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী?

সম্প্রতি ওদেশের সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিদেশমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনার আয়োজন করে দেওয়ার জন্য কাউকে অনুরোধ করেনি পাকিস্তান (Pakistan)। আমেরিকার তরফে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হতে বলা হয়েছিল। পাকিস্তান যুদ্ধ চায়নি, সেকথা তিনি স্পষ্ট করে দেন বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

Pakistan foreign minister opened up about ceasefire with India

আমেরিকার তরফে এসেছিল ফোন: ইশাক দার এদিন আরও জানান, ভারত-পাকিস্তান (Pakistan) সংঘর্ষ যখন পুরোদমে চলছে, তখনই আমেরিকার তরফে ফোন এসেছিল তাঁর কাছে। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, ভারতের সঙ্গে নিরপেক্ষ ভাবে কোথাও আলোচনায় বসার। পাক (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী তাতে রাজিও নাকি হয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে একটাই বিষয়ে কথা হতে পারে। আর তা হল কাশ্মীর সহ যে বিষয়গুলি ঝুলে রয়েছে এখনও। সেটাই আমেরিকাকে তিনি জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা থাকতে চাইলে কোনও আইন আটকাতে পারবে না, বেনজির রায় আদালতের

তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা অস্বীকার ভারতের: উল্লেখ্য, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক প্রথমেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল, সংঘর্ষ বিরতিতে কোনও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই। পাকিস্তান (Pakistan) প্রথমে সংঘর্ষ বিরতিতে আগ্রহ দেখায়। তারপরেই ভারত সম্মতি দেয়। দুই দেশের ডিজিএমওর বৈঠকের পরে হয় সংঘর্ষ বিরতি। কিন্তু তবুও ট্রাম্প (Donald Trump) বারংবার দাবি করেছেন, তিনিই থামিয়েছেন সংঘর্ষ। এখন যে প্রশ্নটা উঠে আসছে, আমেরিকাকে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব তবে দিল কে?

আরও পড়ুন: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে পরীক্ষা স্থগিত, বিতর্কে বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়

এ বিষয়ে আগে অনেকে মনে করেছিলেন, পাকিস্তানই হয়তো আমেরিকাকে মধ্যস্থতা করার জন্য অনুরোধ করেছিল কিন্তু পাক বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, তবে কি ট্রাম্প নিজেই মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিলেন? ওয়াকিবহাল মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।