বাংলা হান্ট ডেস্ক : কর্ণাটকের (Karnataka) বিধান পরিষদের কংগ্রেস সদস্য বিকে হরিপ্রসাদের (BK Hariprasad) বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পাকিস্তানকে (Pakistan) ঘিরে তার মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সারা দেশে। বিজেপি তো বিরোধীতা করছেই, সেই সাথে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে আম জনতাও। ভোটের মুখে কংগ্রেস সদস্যের এই বক্তব্য যে দলের জন্য খুব একটা স্বস্তির নয় সেকথা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এআইসিসির প্রাক্তন মুখপাত্র হরিপ্রসাদ গত বুধবার বলেন,‘পাকিস্তান বিজেপির কাছে শত্রু দেশ হতে পারে, আমাদের কাছে নয়।’ এই মন্তব্যের পর বিধান পরিষদের বিজেপি সদস্যরা প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করলে হরিপ্রসাদ পালটা জবাব দেন, ‘‘আডবাণীজি পাকিস্তান সফরে গিয়ে সে দেশের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার সমাধি পরিদর্শন করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘জিন্নার মতো ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না কোনও নেতা’! তখন কি পাকিস্তান শত্রু দেশ ছিল না?’’
হরিপ্রসাদের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছে দেশের সাধারণ মানুষ। দেশভাগের পর থেকেই ভারতের প্রতি কুদৃষ্টি রয়েছে পড়শিদেশটির। ১৯৪৮ হোক কী ১৯৭১ বা ১৯৯৯, প্রতিবারই প্রথম আক্রমণ এসেছিল পাকিস্তানের তরফ থেকেই। এতকিছুর পরেও কংগ্রেস নেতা কীভাবে এই মন্তব্য করতে পারলেন? প্রশ্ন তুলছে দেশের নাগরিক।
আরও পড়ুন : জঙ্গি হানা? ব্যাঙ্গালুরুর ক্যাফেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ! ঝলসে গেলেন ৪ জন, চারিদিকে আতঙ্ক
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিরোধী বিজেপি-জেডিএস জোটকে হারিয়ে রাজ্যসভা ভোটে কর্নাটকের তিনটি আসন দখল করেছে সে রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, এই জয়ের পরেই পাকিস্তান-পন্থী স্লোগান তোলা হয় কংগ্রেসের তরফে থেকে। এবং সেই প্রসঙ্গেই এমন মন্তব্য করেছেন হরিপ্রসাদ।
আরও পড়ুন : ‘গাইঘাটা হবে সন্দেশখালি’ চরম হুমকি তৃণমূল নেতার, প্রতিবাদে ঝাঁটা হাতে রাস্তায় মহিলারা
এখানে বলে রাখা ভালো কর্নাটকের চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে কংগ্রেস এবং একটিতে বিজেপির জেতার কথা ছিল। তবে জেডিএস-র সঙ্গে জোট বেঁধে মোট দু’টি আসন টার্গেট করেছিল পদ্মশিবির। তবে ফল হয় উল্টো। হঠাৎ করেই কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিয়ে বসেন প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী এসটি সোমশেখর গৌড়া। আর তাতেই জয়ের হাসি ফোটে কংগ্রেসের মুখে।