সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানকে নিয়ে অনেক মিম তৈরি করা শুরু হয়েছে। গাধা-মহিষ বিক্রি করে এখন পাকিস্তান তার রাষ্ট্রীয় ঋণ শোধ করা হচ্ছে। একদিকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দেন। অন্যদিকে ইমরান খান টমেটোর দাম নির্ধারণ করার জন্য মন্ত্রীদের থেকে শুরু করে সেনা অব্দি সবার সাথে আলোচনা করেন । আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাশ্মীর ইস্যুতে ধাক্কা খাওয়ার পর পাকিস্তান এখন নতুন সমস্যায় পড়েছে। সমস্যাটি বর্তমান সময়ে খুব হাস্যকর হলেও এটা পাকিস্তানের জন্য অতি ভয়াবহ সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তানে বৃদ্ধি পাওয়া মাছির সংখ্যা। মাছির সংখ্যা পাকিস্তানে এত পরিমান বেড়ে যাচ্ছে যে বিভিন্ন এলাকায় লোকজন তাদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। উড়ন্ত মাছির সঙ্গে সংঘর্ষ করার জন্য ফেডারেল মন্ত্রী, সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী এবং করাচির মেয়র সকলেই এখন চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। এর জন্য পাকিস্তান একটা হাইলেভেল মিটিং এর আয়োজনও করেছিল। বিশেষ করে সিন্দুপ্রদেশ ও তার আশেপাশের এলাকায় মাছির উপদ্রব সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে।
পাকিস্তানের মন্ত্রীরা রাস্তা ঘাট সাফাই করে মাছি তাড়ানোর সিধান্ত নিয়েছেন। পাকিস্তানের সামা টিভির ওয়েবসাইট ফেডারেল সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী আলী জায়েদীকে উদ্ধৃত করেছে এবং বলেছে করাচির মতো বড় শহরে এখন দশটি রাস্তা পরিষ্কার করাও একটি ‘বড় অর্জন’ হবে। শহরটিকে উড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য, স্বয়ং সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে হয়েছিল যে সেখানে ধূমপান করার মতো প্রাথমিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। পাকিস্তানে মাছির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় লোকজন এখন ইমরান খানের যোগ্যতা নিয়ে পুনরায় কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। বহুজনের দাবি ইমরান খানের মাছি তাড়ানোর যোগ্যতা নেই, দেশ চালানো তো অনেক দূর।