বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার এশিয়া কাপ হকি এবং জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ ভারতে আয়োজন করা হবে। এমতাবস্থায়, এই টুর্নামেন্টগুলিতে পাকিস্তান (Pakistan) অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তান সরকার এই ইভেন্টগুলির জন্য তাদের সিনিয়র এবং জুনিয়র দলগুলিকে ভারতে না পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে। উল্লেখ্য যে, আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিহারের রাজগীরে সম্পন্ন হতে চলা এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। যার জন্য পাকিস্তান হকি ফেডারেশন (PHF) সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন চেয়েছে।
কী পরিকল্পনা পাকিস্তানের (Pakistan):
এশিয়া কাপ খেলতে ভারতে আসবে না পাকিস্তান দল: এদিকে, চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে চেন্নাইতে সম্পন্ন হতে চলা জুনিয়র হকি বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের (Pakistan) অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে একজন উচ্চ অধিকারিক টেলিকম এশিয়া স্পোর্টকে জানিয়েছেন, দুই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকার জাতীয় হকি দলকে ভারত সফরের অনুমতি দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সূত্র জানিয়েছে যে, সরকারের কাছ থেকে কোনও স্পষ্টতা না পাওয়ার পর, পাকিস্তানের (Pakistan) হকি ফেডারেশন FIH এবং এশিয়ান হকি ফেডারেশনের (AHF) কাছে টুর্নামেন্টটি মালয়েশিয়া বা ওমানের মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে স্থানান্তরের দাবি জানাবে।
পাকিস্তান কী চায়: PHF সূত্র জানিয়েছে, PHF এই ইভেন্টগুলি ভারতের বাইরে আয়োজনের চেষ্টা করবে। তবে, সেটির সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, মালয়েশিয়া এবং ওমানের কাছে এই ইভেন্টগুলির জন্য টেন্ডার দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড নেই। যা প্রায় এক লক্ষ ডলার।
আরও পড়ুন: “বিহার-বাংলা-তামিলনাড়ুর নির্বাচন আমাদেরই পক্ষে যাবে”, কেরালা নিয়েও আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ
উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান (Pakistan) সর্বশেষ ২০২৩ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারত সফর করেছিল। যেখানে তারা ৬ টি দলের মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করে। ভারত ওই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেছিল। ওই ইভেন্ট চলাকালীন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
পাকিস্তানের হতে পারে ক্ষতি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমেই পাকিস্তান আগামী বছরের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। তাই, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করলে পাকিস্তান বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারে।