বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) নতুন অভিযোগে বিদ্ধ হলেন। দেশের বিরোধী দলগুলো বুধবার অভিযোগ করেছে যে, ইমরান খান অন্য দেশের প্রধানদের তরফ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই উপহারগুলির মধ্যে ১০ লক্ষ ডলারের একটি ঘড়িও ছিল। জানা গিয়েছে যে, ইমরান খান ওই ঘড়িটি ১৭ কোটি পাকিস্তানি টাকায় বিক্রি করেছেন। বিরোধীরা ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি করে নিজের সম্পত্তি বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের মতে, শাসনের প্রধান বা সাংবিধানিক পদে বসা ব্যক্তি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপহার কোনও মূল্য না দিয়ে নিজের কাছে রাখতে পারবেন। যখনই সাংবিধানিক পদে বসা কোনও শাসনের প্রধান অন্য দেশের সফরে যান, তখন তাঁরা একে অপরকে উপহার দেন। পাকিস্তানের গিফট ডিপোজিট রুলস অনুযায়ী, ওই উপহারগুলি ততদিন সরকারি সম্পত্তি হিসেবেই থাকবে, যতদিন না সেগুলির সার্বজনীন নিলামি হবে।
পাকিস্তানের বিরোধী দল পিএমএল-এন এর সহ সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ ট্যুইট করে অভিযোগ করেছেন যে, ইমরান খান অন্য দেশের থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি করে দিয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে বলেছেন, ‘পয়গম্বর মহম্মদের সঙ্গী নিজের পোশাকের জন্য পর্যন্ত জবাবদিহি ছিলেন, আর একদিকে আমাদের ইমরান খান উপহার লুঠ করে মদিনার মতো শাসন স্থাপিত করার কথা বলছেন। কীভাবে কোনও ব্যক্তি এতটা অসংবেদনশীল, বোবা আর কালা হতে পারে? ”
جس ملک میں عوام فاقوں سے مر رہےہوں،والدین مہنگائی سے تنگ آ کر بچوں کو زہر پلا کر خود کشیاں کر رہے ہوں،اس ملک کاحکمران اُس ریاست مدینہ کی بات کر رہا ہے جسکاخلیفہ کندھوں پر بوریاں اٹھا کر غریبوں کے گھروں پر دستک دیتا تھا؟
کیا کوئی شخص ایسابےحس گونگا بہرا اور اندھا بھی ہو سکتا ہے؟
— Maryam Nawaz Sharif (@MaryamNSharif) October 19, 2021
পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্টের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান বলেছেন, খবর পেয়েছি যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রিন্সের থেকে পাওয়া ঘড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। এটা লজ্জাজনক ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়েছে যে, গলফ কান্ট্রির এক যুবরাজ ইমরান খানকে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি ঘড়ি উপহারে দিয়েছিলেন। ঘড়িটিকে দুবাইতে এক ব্যক্তির কাছে ১০ লক্ষ ডলারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, আর টাকা ইমরান খান নিয়েছেন। এই উপহার বিক্রির কথা প্রিন্সের কানেও গিয়েছে।