বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পারভেজ খট্টকের মধ্যে সংসদীয় দলের বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অবহেলা নিয়ে তুমুল বাদানুবাদ হয়েছে। খট্টক উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সরকারের অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি ইমরান খানকে ভোট দেবেন না, যা শুনেই চটে যান ইমরান প্রধানমন্ত্রী খান।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী খানের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন জোটের সংসদীয় দলের বৈঠকে বিষয়টি উঠে আসে। একটি বিতর্কিত সম্পূরক অর্থ বিল-২০২২ (সাধারণত এটিকে মিনি বাজেট হিসাবে উল্লেখ করা হয়) অনুমোদনের জন্য সংসদে ডাকা বৈঠকে অংশ নেওয়ার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে, স্বল্পোন্নত প্রদেশের লোকেরা যদি নতুন গ্যাস সংযোগ না পায় তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ভোট দেবেন না।
খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান খট্টকের অভিযোগে ক্ষুব্ধ হন এবং তাকে “ব্ল্যাকমেইলিং” বন্ধ করতে বলেন। এর পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৈঠক কক্ষ ত্যাগ করেন, যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে নেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী প্রায় পুরো দিন তার চেম্বারে কাটান এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং ক্ষমতাসীন জোটের অন্যান্য দলের বেশ কয়েকজন এমপির সঙ্গে দেখা করেন।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, খট্টকের অভিমত ছিল যে খাইবার পাখতুনখোয়া বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হচ্ছে, অথচ অন্যান্য প্রদেশের মানুষ এসব সুবিধা ভোগ করছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, এরকমই যদি চলে তাহলে রাজ্যের মানুষ পিটিআইকে ভোট দেবে না। খট্টর অবশ্য বৈঠকের পরে মিডিয়াকে বলেছেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কঠোরভাবে কথা বলেননি বা খানকে ভোট না দেওয়ার হুমকিও দেননি। তিনি শুধু খাইবার পাখতুনখোয়ায় গ্যাসের ঘাটতি এবং নতুন গ্যাস সংযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ইমরান খান আমার নেতা ও প্রধানমন্ত্রী। আমি ওনাকে বলিনি যে জনগণকে গ্যাস সংযোগ না দিলে আমি ওনাকে ভোট দেব না। খট্টর বলেন, তিনি সিগারেট খাওয়ার জন্য মিটিং রুম থেকে বেরিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমার সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে এবং আমি কেবল ধূমপান করার জন্য ঘর থেকে বেরিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক বিশেষ সহকারী শাহবাজ গিল পরে নিশ্চিত করেছেন যে, খট্টক খাইবার পাখতুনখোয়ার জনগণের জন্য গ্যাসের ব্যবস্থা না করার বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জ্বালানি মন্ত্রী হাম্মাদ আজহারকে বলেছেন যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পগুলি অবরুদ্ধ করা হচ্ছে এবং প্রদেশের জনগণকে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। খবর অনুযায়ী, সংসদীয় দলের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে তার চেম্বারে ডেকে নেন এবং তিনি আবারও খট্টকের ‘মনোভাব’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আপনাদের বলে দিই, যে খট্টক সংসদে খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশের নওশেরা-১ এর প্রতিনিধিত্ব করেন।