বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়া (Syria)। ইতিমধ্যেই ভারত সহ নানা দেশ তাদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) দু’টি দল পাঠিয়েছে ভারত (India)। যাতে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো যায়। তবে এই তুরস্কের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (Pakistan)। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ এরদোয়ার (Recep Erdogan) কাছে চূড়ান্ত অপমানিত হলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif)।
অন্যান্য দেশগুলির মতোই তুরস্কের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিল পাকিস্তান। তাদের এই কঠিন সময়ে সেখানে যেতে চেয়েছিলেন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু তাদের এই পরিকল্পনায় সায় দিলেন না এরদোয়া। তুরস্কের আঙ্কারাতে (Ankara) যাওয়ার ঘোষণা করেন পাক রাষ্ট্রপ্রধান। কিন্তু পাকিস্তান নিজে চূড়ান্ত অর্থসঙ্কটে ভুগছে। এর মধ্যে ভিআইপি সফরের পিছনে খরচ করা সম্ভব নয় তাদের। কিন্তু তুরস্কের তরফেই শাহবাজকে সেখানে যেতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম ঔরঙ্গজেব (Maryam Aurangzeb) জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের তুরস্ক সফর পিছিয়ে গিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার ভোরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে উদ্ধারকাজ চলছে। তাই জন্য পিছিয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সফর। গতকালই তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল শাহবাজের। তবে তুরস্কের বারণ করে দেওয়ায় আন্তর্জাতিক স্তরে আরও একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের।
তুরস্কের দুর্দশার দিনে পাকিস্তান সেখানে একটি ৫১ সদস্যের উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে। এছাড়াও একটি ত্রাণ তহবিল গড়ে তুলেছে তারা। পাশাপাশি, তারা ২১ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের (Pakistan International Airlines) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গতকালই দু’টি বিমান রওনা দিয়েছে ইস্তানবুল (Istanbul) ও দামাস্কাসের (Damascus) উদ্দেশ্যে। কিন্তু তাদের নিজেদের প্রায় দেউলিয়া অবস্থা। তাই এই পরিস্থিতিতে কতটা আর্থিক সাহায্য করতে পারবে তারা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পের ফলে এখনও অবধি ৮৩০০ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও লক্ষাধিক মানুষ আহত এবং আটকে রয়েছেন ধ্বংসস্তুপের তলায়। ফলে মনে করা হচ্ছে, আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। তুরস্কের নানা জায়গায় বৃষ্টিও হচ্ছে। যা উদ্ধারকাজকে আরও কঠিন করে তুলছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও তুরস্কের সম্পর্ক খুবই মজবুত। ব্যবসা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দু’টি দেশই কাজ করছে। পাকিস্তানকে ইসলামের নামে সমর্থন করেন তুরস্কের এরদোয়া। সেই কারণে তুরস্কও একাধিক বার জাতিসংঘে (United Nations) কাশ্মীর ইস্যু তুলেছেন।