বাংলা হান্ট ডেস্ক : সম্ভাব্য ঋণ খেলাপি এড়ানোর জন্য পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (International Moneytery Fund) থেকে অবিলম্বে ৯০০ মিলিয়ন ডলার চাইছে। খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, এশিয়ার দ্বিতীয়-দ্রুততম মুদ্রাস্ফীতি এবং ঋণের বোঝার কারণে পাকিস্তানের (Pakistan) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে। এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে আইএমএফ-র সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। আর সেই আমেরিকার (America) হাতে-পায়ে পড়ছে ভারতের পড়শি দেশ।
খরচ কমিয়ে ডেফিসিট কমানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। এসব করেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) থেকে ঋণ পাবে না পাকিস্তান এমনটাই বললেন সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের অর্থনীতিবিদ।
জানা যাচ্ছে মুদ্রা ভান্ডার থেকে লোনের জন্য পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাজ দার সম্প্রতি ইসলামাবাদে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লুমের সঙ্গে দেখা করেন। তাছাড়া ইশক দার আরও অনুরোধ করেন মুদ্রা ভান্ডার যেন তাঁদের সঙ্গে লোন সম্পর্কিত চুক্তির কথা মাথায় রাখে। জানা যাচ্ছে, আজই ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে উড়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শহবাহ আহমেদ।
গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অর্থবর্ষে কর-জিডিপি অনুপাত ৯.২% থাকবে বলে পূর্বাভাস করা হচ্ছে। পাকিস্তানের বাজার, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সাপেক্ষে যা অত্যন্ত কম। সোমবার এমনটাই জানান অর্থনীতিবিদ জোহানা চুয়া এবং গৌরব গর্গ। সুদের অর্থপ্রদানেই মোট রাজস্বের ৪৪% বেরিয়ে যাবে পাকিস্তানের।
‘আমরা তহবিলের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা করছি,’ লিখেছেন জোহানা চুয়া এবং গৌরব গর্গ। এ বিষয়ে শীঘ্রই চলতি মাসে আইএমএফ এবং পাকিস্তানি আধিকারিকদের বৈঠক হওয়ার কথা।
সম্ভাব্য ঋণ খেলাপি এড়ানোর জন্য পাকিস্তান IMF থেকে অবিলম্বে ৯০০ মিলিয়ন ডলার চাইছে। খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, এশিয়ার দ্বিতীয়-দ্রুততম মুদ্রাস্ফীতি এবং ঋণের বোঝার কারণে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে। ৩ জুন পর্যন্ত তা ১০ বিলিয়ন ডলারেরও নিচে নেমে গিয়েছে। এতে পাকিস্তানের দুই মাসের আমদানিও চালানো যাবে না।
মন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইলের মতে, আগামী ১২ মাসে পাকিস্তানের কমপক্ষে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। আইজিআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সাদ খান-সহ বিশ্লেষকদের মতে, দাবির কিছুটা হয় তো পূরণ করা হবে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম হবে।