বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এর আগেই জানা গিয়েছিল আফগানিস্তানে আফগান সেনাদের বিরুদ্ধে তালিবানদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। তাদের লক্ষ্য ভারতের বিনিয়োগে তৈরী সমস্ত পরিকাঠামো এবং ভারতীয় বসতিগুলি সর্বপ্রথম ধ্বংস করা। এবার ফের একবার নাশকতামূলক চক্রান্তে জড়ালো পাকিস্তানের এই কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থার নাম। জানা গিয়েছে শুধু তালিবানদের নয় বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের (rohingya) শরণার্থী শিবিরেরগুলিতেও জেহাদের বীজ বপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে আইএসআই।
২০১৭ সালে আগস্ট মাসে মায়ানমারের বাহিনীর উপর আক্রমণ চালিয়েছিল আরসা (ARSA) বা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি। যার জেরে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয় রোহিঙ্গাদের। প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশের (Bangladesh ) শরণার্থী শিবিরগুলিতে। কারণ তাদের বিরুদ্ধে জোর কদমে অভিযান শুরু করেছিল মায়ানমারের সেনাবাহিনী। বর্তমানে সেই সাড়ে সাত লক্ষের সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষে।
আর ইতিমধ্যেই ফের একবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে আরসা। তাতেই মদত যোগাচ্ছে পাকিস্তানের (Pakistan) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইও। আরসা নামক এই নাশকতামূলক জঙ্গী সংগঠনটির অত্যাচারের ছবি এর আগেও সামনে এসেছে একাধিকবার। বিশেষত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর তাদের অত্যাচার ছিল প্রবল। একশোরও বেশি হিন্দু নর-নারী এবং শিশুকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। দু’বছর আগে অ্যামেনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি মানবাধিকার সংগঠন এই খবর সকলের সামনে নিয়ে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর যে নির্মম অত্যাচার চালিয়েছিল এই সংগঠনটি তা ছিল অবর্ণনীয়।
সম্প্রতি ফের একবার সামনে এল এ ধরনের একটি ঘটনা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরগুলিতে এই মুহূর্তে রীতিমতো সক্রিয় হয়ে উঠেছে আরসা। এমনকি অনেক রোহিঙ্গা নর-নারী শরণার্থী শিবির ছেড়ে বাড়ি ফিরে যেতে চাইলেও তাদের ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। বরং গড়ে তোলা হচ্ছে বিষাক্ত জেহাদী মনোভাব। আর এ ব্যাপারে তাদের মদতদাতা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।