বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানি (Pakistan) পাবজি প্রেমিকা সীমা হায়দর কি সত্যিই কোন সাধারণ নাগরিক নাকি একজন ISI এজেন্ট? সত্যিই প্রেমের টানে ভারতে এসেছেন নাকি গুপ্তচরবৃত্তি করতেই ভারতীয় যুবককে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছেন? রহস্যময়ী এই নারীকে নিয়ে জল্পনা বেড়েই চলেছে। তার মধ্যেই বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য খুঁজে বের করেছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, সীমা হায়দর এবং শচীন দুজনেই দাবি করেছিলেন যে, সীমা ভারতে এসেছেন গত ১৩ মে। তারা জানায়, নেপাল থেকে ভারতে আসার সময় দুটি রাস্তার ব্যবহার করেছিলেন সীমা। তবে রিপোর্ট বলছে ঐ রাস্তা দিয়ে সীমা ভারতে আসেনি। সূত্রের খবর, ১৩ মে ভারত-নেপাল সীমান্ত সুনাউলি সেক্টর এবং সীতামারহি সেক্টর দিয়ে কোন তৃতীয় দেশের নাগরিকের প্রবেশ ঘটেনি।
জানিয়ে রাখি, যদি তৃতীয় কোনো দেশের নাগরিক ভারত-নেপাল সীমান্তের এদিক-ওদিক যায়, তবে উভয় দেশের পুলিশ একে অপরকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু ভারতের পুলিশের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। এরপর আরও চারটি আইসিপির রেকর্ড অর্থাৎ ইন্দো-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের রেকর্ডগুলিও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়াও সমস্ত চেকপোস্টের সিসিটিভি ফুটেজ-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি চেক করা হচ্ছে ভারত-নেপাল সীমান্তে পারাপার করা বিভিন্ন বাস ডিপোর সিসিটিভি ফুটেজও। তবে সীমা ও শচিন যে বয়ান দিয়েছেন সেই অনুযায়ী কোন তথ্যই পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা, ভারত-নেপাল বর্ডার ক্রশ করার জন্য অপর এক তৃতীয় ব্যক্তি সাহায্য করেছে সীমাকে।
পুলিশের ধারণা, সীমা এবং তার চার বাচ্চাকে সম্পূর্ণ প্রস্তত করেই ভারতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সাজপোশাক এমন করা হয় যাতে তাকে একজন গ্রামীণ ভারতীয় মহিলার মতো দেখায়। এই কাজে কোনো পেশাদারের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার মতে, মানব পাচারের সাথে জড়িত মহিলারা যেমন গৃহকর্মী বা পতিতাবৃত্তির র্যাকেট ভারত-নেপাল সীমান্ত অতিক্রম করতে একই পদ্ধতি ব্যবহার করে।
এ ছাড়া সীমা যে ভাষায় অনর্গল কথা বলছে, নেপালে অবস্থানরত পাকিস্তানি হ্যান্ডলাররা নারীদের এভাবেই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এবং তাদের নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অবৈধ কার্যকলাপ চালানোর জন্য পাঠানো হয়। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, সীমা হায়দরের ভাই নাকি পাক আর্মিতে কর্মরত। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষয়টি নিজেই স্বীকার করেছেন এই পাকিস্তানি পাবজি প্রেমিকা। তারপর থেকেই পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে সীমার উপর।