বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যে জঙ্গিদের খাইয়ে দাইয়ে ভারতে (India) হামলা করার জন্য বড় করেছিল পাকিস্তান (Pakistan), তারাই এখন তাদের জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফের পাকিস্তান একটি ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সাক্ষী হয়েছে। তালিবান জঙ্গিরা পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের চিত্রাল জেলার দুটি সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালিয়ে অন্তত ১১ জন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে এবং ৪০ জন আহতও হয়েছে। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা ISPR মাত্র চার সেনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে ৯০ জন পাকিস্তানি সেনাকে অপহরণ করেছে তালিবান।
ISPR জানিয়েছে, ‘আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসীদের একটি বড় দল চিত্রাল জেলার কালাশ এলাকায় আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত দুটি সেনা পোস্টে হামলা চালায়। এনকাউন্টার চলাকালীন, ১২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়, এবং বিপুল সংখ্যক জঙ্গি গুরুতর আহত হয়।” দ্য খোরাসান ডায়েরির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানি তালিবানের একজন মুখপাত্র এবং একজন প্রধান কমান্ডার দাবি করেছেন যে বিপুল সংখ্যক টিটিপি জঙ্গি চিত্রালের সীমান্ত চৌকিতে আক্রমণ করেছে।
ALERT:
Pakistani Taliban (TTP) Spokesman and a key commander have claimed that TTP fighters in “large” number have entered Chitral district, Khyber Pakhtunkhwa which borders Afghanistan’s Kunar, Nuristan and Badakhshan provinces.
“An operation in Chitral district has been…— The Khorasan Diary (@khorasandiary) September 6, 2023
পাকিস্তানের গ্রাম দখলঃ চিত্রাল জেলা আফগানিস্তানের কুনার, নুরিস্তান এবং বাদাখশান প্রদেশকে সংযুক্ত করেছে। টিটিপি কমান্ডার আরও জানায়, তারা চিত্রাল জেলায় অভিযান শুরু করেছে। অনেক গ্রাম দখল করা হয়েছে। বুধবার ভোর চারটায় শুরু হয় এই অভিযান। একই রিপোর্টে পাকিস্তানের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বক্তব্য শেয়ার করা হয়েছে, যার মতে, যখন হামলা হয়েছিল তখন আফগানিস্তানের সীমান্ত থেকেও গুলি চালানো হচ্ছিল। তবে পাকিস্তান গ্রাম দখলের খবর প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষঃ বুধবার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এর কিছুক্ষণ পর পাকিস্তানি কর্মকর্তারা দুই দেশের সীমান্তে একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনাকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের শহর তোরখামের একজন কর্মকর্তা নাসরুল্লাহ খান বলেছেন, এই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া উভয় পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের কারণও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের কারণ জানা যায়নিঃ তিনি বলেন, উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তান সরকার ও সামরিক কর্মকর্তারা তাদের আফগান প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আফগান তালিবান দ্বারা নিযুক্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি আফগান ও পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা সংঘর্ষের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।