বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিঁদুরে জোরালো চড় খেয়েও হুঁশ ফেরেনি পাক (Pakistan) জঙ্গিদের। ব্রহ্মসে তছনছ হয়ে যাওয়ার পরও পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। পাক সেনা ও আইএসআই-এর মদতে নতুন করে জোট বাঁধার চেষ্টাও স্পষ্ট। সম্প্রতি সামনে আসা এক উসকানিমূলক ভিডিওতে কুখ্যাত লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি আবদুল রউফকে ভারতকে প্রকাশ্য হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে। ভিডিওতে রউফ দাবি করে, “দিল্লিকে কনে সাজাব। রাফালে, এস-৪০০—কেউ আমাদের থামাতে পারবে না।”
ফের ভারতে হামলার হুমকি পাক (Pakistan) জঙ্গিদের
ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ভিডিওতে পাক (Pakistan) জঙ্গি হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ এই জঙ্গি দাবি করছে, কাশ্মীরে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি এবং যারা তা মনে করছে তারা ভুল করছে। রউফের বক্তব্য অনুযায়ী, কাশ্মীরে হিংসা চলতেই থাকবে। ভিডিওতে আরও শোনা যায়, তাদের সংগঠনের লক্ষ্য ভারতের রাজধানী দখল করা। একই সঙ্গে ভারতের সেনা ও বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করতে দেখা যায় তাকে। তার দাবি, ভারতের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের আটকাতে পারবে না।
আরও পড়ুন:ট্রেকিংয়ে গিয়ে আগুন জ্বালানোতেই ঘটল সর্বনাশ! ভয়ঙ্কর দাবানল নাগাল্যান্ডের জুকো উপত্যকায়
রউফ আরও বলে, ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের (Pakistan) আকাশসীমায় ঢোকার সাহস দেখাতে পারবে না, কারণ পাকিস্তান একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। যদিও বাস্তবে এই দাবির সত্যতা কতটা, তা সাম্প্রতিক ঘটনাতেই স্পষ্ট বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মহল। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে নিখুঁত হামলা চালিয়েছে। তাতে একের পর এক সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর গুঁড়িয়ে যায় এবং খতম হয় শতাধিক জঙ্গি।
ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। পাকিস্তান (Pakistan) যদি ফের কোনও রকম দুঃসাহস দেখায় বা জঙ্গি মদত অব্যাহত রাখে, তাহলে এই অভিযান আবারও জোরদার করা হবে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব হিসেবেই চলতি মে মাসে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল ভারত। সেই অভিযানে জঙ্গিদের পাশাপাশি তাদের পরিকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই আবদুল রউফকেই অপারেশন সিঁদুরের পর জঙ্গিদের কবরে কলমা পাঠ করতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় তার পিছনে পাকিস্তানি (Pakistan) সেনার শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিও ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এই ঘটনাগুলি ফের একবার প্রশ্ন তুলছে—পাকিস্তান কি আদৌ সন্ত্রাসের পথ থেকে সরে আসতে চায়, নাকি জঙ্গিদের ঢাল করেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্বিচারিতা চালিয়ে যেতে চায়।












