বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। সাধারণের মুখে তুলে দেওয়ার মতো অন্ন নেই তাদের। কিন্তু এই অবস্থাতেও ষড়যন্ত্র করতে পিছুপা হচ্ছে না শাহবাজ শরিফের (Shahbaz Sharif) দেশ। পাকিস্তানের অবস্থা ঠিক কতটা খারাপ, তা মোটামুটি বাকি বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) কাছে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে পাকিস্তান। কিন্তু এমন খারাপ পরিস্থিতিতেও নিজেদের চেনা রূপ প্রদর্শন করা থেকে পিছুপা হচ্ছে না ভারতের এই পড়শি দেশটি।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার ৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবস (Kashmir Solidarity Day) পালন করবে তারা। এর মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রোপাগান্ডা ছড়াতে উদ্যত পাক সরকার। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে চাইছে পাকিস্তান। যার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবে তারা। এদিকে মানুষের দুর্দশা ক্রমশ চরমে চলে যাচ্ছে।
বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারও তলানিতে। দেশ অন্ধকারে ডুবে যেতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। অর্থসঙ্কটে জর্জরিত অবস্থা। তাও ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা থেকে পিছুপা হচ্ছে না পাকিস্তান। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করতে চলেছে পাকিস্তান। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যেই এর প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে।
কাশ্মীর ইস্যু (Kashmir Issue) নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি জ্বলানির ঘাটতি সম্পর্কে সরকারকে জানিয়েছে। একইসঙ্গে খাদ্যসামগ্রী কেনার মতো অর্থও নেই তাদের কাছে। কারণ বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার ফুরিয়ে এসেছে। ফলে আমদানি করতে পারছে না তারা। চূড়ান্ত মুদ্রাস্ফীতির ফলে ডলারের তুলনায় পাক রুপির মূল্য ২৭০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এমন কাঙাল অবস্থাতেও শাহবাজ সরকার ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে তৎপর। কিন্তু চূড়ান্ত অর্থসঙ্কটেও ভারতের বিরুদ্ধে অর্থ খরচ কেন করতে চায় পাক সরকার? ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি হিন্দুদের গণহত্যার পর থেকেই প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করে পাকিস্তান। এর মাধ্যমে তারা সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন জানায়। কাশ্মীরের জঙ্গিদের কার্যকলাপকে বিপ্লব বলে দাগিয়ে দিতে চায় তারা।
এদিক আর্টিকল ৩৭০ (Article 370) এবং ৩৫এ (Article 35A) তুলে দেওয়ার পর কাশ্মীরের পরিস্থিতির উন্নতি দেখা গিয়েছে। কাশ্মীরের স্থানীয় মানুষও পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র ধরে ফেলেন। তাঁরা বুঝতে পারেন, এটি আসলে কাশ্মীরকে ভারতের থেকে আলাদা করার জন্য পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র। পরিসংখ্যান বলছে, আর্টিকল ৩৭০ ও ৩৫এ তুলে দেওয়ার পর কাশ্মীরে শান্তি ফিরছে। পাশাপাশি, অনেক বেশি সংখ্যায় পর্যটকদেরও আগমন শুরু হয়েছে উপত্যকায়।