বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তান (Pakistan) তাদের নোংরা মানসিকতা যে আর ছাড়বে না, সেটা বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছে। আর সেই ক্রমেই তাঁরা ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেন পুলিশকে জম্মু ও কাশ্মীরে যুদ্ধাপরাধের জন্য ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (Manoj Mukund Naravane) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) গ্রেপ্তার করার অনুরোধ করেছে পাকিস্তান।
ব্রিটেনের আইনি সংস্থা স্টোক হোয়াইট ভারতীয় সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ আটজন শীর্ষ সৈন্য আমলাদের বিরুদ্ধে সমাজকর্মী, সাংবাদিক, সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অপারেশন চালানোর অভিযোগ করেছে। এই নিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে প্রমাণও পেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শোনা যাচ্ছে যে, এই আইনি সংস্থার রিপোর্ট ২০২০ থেকে ২০২১-র মধ্যে ২০০০-রও বেশি প্রমাণের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আবেদনটি করেছে লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে যুক্ত পাকিস্তানি জিয়া মুস্তাফা। লস্কর-ই-তৈয়বা সন্ত্রাসী জিয়া মুস্তফাকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বর্ণনা করেছে এবং রিপোর্টে ৩৭০ ধারা বাতিলের কথাও বলা হয়েছে।
কে এই জিয়া মুস্তফা? জিয়া নদীমার্গ হত্যাকাণ্ডের মূল স্বরযন্ত্রী। এই গণহত্যায় ২৪ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত নিহত হয়। জিয়াকে ২০০৩ সালে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। সেই সময় জিয়া লস্কর-ই-তৈয়বার জেলা কমান্ডার ছিল।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে একজন কাশ্মীরিকে দুই ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তা নির্যাতন করেছেন। নির্যাতিত SWI-ইউনিটকে বলেছে যে, জিজ্ঞাসাবাদকারীরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত নয়। তাঁরা সাদা ছিলেন এবং আমেরিকানদের মতো কথা বলছিলেন। তারা বিদেশী বিষয়ে আমার মতামত জানতে চেয়েছিল এবং কাশ্মীর সংঘাতে আগ্রহী ছিল না তারা।
৪০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানকে সমর্থন করার জন্য কাশ্মীরি ছাত্রদের গ্রেপ্তারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছ থেকে চারটি হেরন ড্রোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমকিউ-১ প্রিডেটর কেনার কথা চলছে বলা হয়েছে। এটা নিয়ে বলা হয়েছে যে, এটি জম্মু ও কাশ্মীরে গোয়েন্দা তথ্য, অনুসন্ধান এবং নজরদারি মিশনের জন্য ব্যবহার করা হবে।