বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাকিস্তান (Pakistan) সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও (Mike Pompeo)। পাকিস্তানের উপর ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের (Surgical Strike) পরের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তিনি। পম্পেও জানান তৎকালীন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj) দাবি করেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাকিস্তান পরমাণু হামলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
মাইক পম্পেও তাঁর নিজের লেখা ‘নেভার গিভ অ্যান ইঞ্চ : ফাইট ফর দ্য আমেরিকা আই লাভ’ গ্রন্থে লেখেন ‘আমার মনে হয় না গোটা বিশ্ব জানে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত এবং পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধের কতটা কাছে চলে এসেছিল। এর উত্তরে কী বলা উচিত আমি জানি না। আমি শুধু জানি দুটি দেশ দাঁড়িয়ে ছিল পরমাণু হামলার কিনারায়। এটা সকলেই জানেন যে, ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের যুদ্ধ বিমান পাকিস্তানের বালাকোটে জৈয়স-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেয়। এই ঘটনা ঘটে পুলওয়ামায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে হত্যার ঘটনার পর।’
মাইক পম্পেও-এর বই ‘নেভার গিভ অ্যান ইঞ্চ : ফাইট ফর দ্য আমেরিকা আই লাভ’ গত শুক্রবার বাজারে আসে। আর তারপর থেকে এই বই রীতিমতো শোরগোল তুলছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। এই বইতে পম্পেও লিখেছেন ভারত পাকিস্তানের সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধের কথা। তিনি লেখেন, ‘২০১৯ সালের ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা – উত্তর কোরিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে আমি ছিলাম হ্যানয়ে। সেই সময়ই সৃষ্টি হয়েছিল ভারত – পাকিস্তান সংকট।
পম্পেও তাঁর বইতে লেখেন, ‘আমরা ছিলাম হ্যানয়ে। জানতে পারি পাকিস্তান তৈরি হচ্ছে নিউক্লিয়ার হামলার জন্য। অপর দিকে প্রস্তুত হচ্ছে ভারতও। আমি তৎক্ষনাৎ যোগাযোগ করি হ্যানয়ের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে। সেখান থেকে জানানো হয় পাকিস্তানই প্রথম পদক্ষেপ করতে। উত্তর দিতে তৈরি হচ্ছে ভারতও। আমি তারপর যোগাযোগ করি ভারতের সঙ্গে। বলি আপনাদের কিছু করার দরকার নেই, আমাকে একটু সময় দিন, আমি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’ দশকের পর দশক ধরে কাশ্মীর নিয়ে ভারত – পাকিস্তানের মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল তার চূড়ান্ত পর্যায় যেত সেদিন রাতেই। নিজের বই-এ এমনই দাবি করেন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও।