বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত দিন এগোচ্ছে ততই অর্থনৈতিক সঙ্কট ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানে (Pakistan)। পাশাপাশি, সেদেশে সম্প্রতি ঘটা ভয়াবহ বন্যার কারণে অর্থনীতি কার্যত ভেঙে গিয়েছে। এমতাবস্থায়, এই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। একাধিক দেশের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের সাহায্যও চাইছে তারা। ঠিক এই আবহেই দেশে চলা অর্থনৈতিক সঙ্কটকে মেটাতে এবার চিনে গাধা ও কুকুর রফতানি করতে আগ্রহী হল পাকিস্তান।
পাশাপাশি, চিনও এই প্রসঙ্গে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গত সোমবার আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত এক বৈঠকের সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিনেটের স্থায়ী কমিটির আধিকারিকদের বৈঠকে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট কমিটির তরফে জানানো হয়েছে যে, পাকিস্তান থেকে মাংস আমদানির বিষয়ে চিনা রাষ্ট্রদূতও একাধিকবার কথা বলেছেন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে পাকিস্তানের কাছে গাধার ব্যাপক জোগান রয়েছে। শুধু তাই নয়, গাধার সংখ্যার বিচারে পাকিস্তান এই মুহূর্তে সমগ্ৰ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। প্রায় ৫৭ লক্ষ গাধা রয়েছে সেই দেশে। এমনকি, এর আগেও চিনে গাধা রফতানি করেছে পাকিস্তান। তবে, এবার অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় বিপুলভাবে গাধা রফতানি করতে চায় তারা।
এর আগে চিন পশ্চিম আফ্রিকার নাইজার এবং বুরকিনা ফাসো এই দু’টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী গাধা আমদানি করত। কিন্তু, সম্প্রতি ওই দু’টি দেশ গাধা রফতানির বিষয়টি নিষিদ্ধ করেছে। এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিনেটের স্থায়ী কমিটির আধিকারিকদের মধ্যে একজন সদস্য জানিয়েছেন যে, আফগানিস্তানে পশু তুলনামূলকভাবে অনেকটাই সস্তা। এমতাবস্থায়, পাকিস্তান সরাসরি সেখান থেকে মাংস আমদানি করে চিনে রপ্তানি করতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আধিকারিকদের তরফে কমিটিকে এও জানানো হয়েছিল যে, আফগানিস্তানে পশুদের মধ্যে চর্মরোগের খবর মেলায় বর্তমানে সেখান থেকে পশু আমদানি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, গাধার চাহিদা চিনে ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। কারণ চিনে গাধার চামড়া থেকে ওষুধ প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত, রক্তে পুষ্টি জোগাতে এবং তার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গাধার চামড়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমতাবস্থায়, এই চাহিদাকেই কাজে লাগাতে চাইছে পাকিস্তান।