বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড তথা BCCI সম্প্রতি দেশের মহিলা ডোমেস্টিক ক্রিকেটারদের (Domestic Cricketers) ম্যাচ ফি বৃদ্ধি করেছে। যা মহিলাদের ক্রিকেটের প্রচারের লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, এবার সিনিয়র স্তরের দীর্ঘ ফরম্যাট (মাল্টি-ডে) এবং ODI ম্যাচে, প্লেয়িং ইলেভেনের খেলোয়াড়রা প্রতিদিন ৫০,০০০ টাকা পাবেন। অপরদিকে, রিজার্ভ খেলোয়াড়দের প্রতি ম্যাচে ২৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে। এদিকে, T20 ম্যাচে প্লেয়িং ইলেভেনের খেলোয়াড়দের ২৫,০০০ টাকা এবং বেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের ১২,৫০০ টাকা প্রদান করা হবে।
পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটাররা (Domestic Cricketers) পান নামমাত্র ম্যাচ ফি:
BCCI ম্যাচ ফি দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করেছে: এই বৃদ্ধি আগের পরিমাণের দ্বিগুণেরও বেশি। পূর্বে সিনিয়র মহিলা খেলোয়াড়রা প্লেয়িং ইলেভেনে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ২০,০০০ টাকা এবং রিজার্ভ খেলোয়াড়রা ১০,০০০ টাকা পেতেন। এদিকে, জুনিয়র টুর্নামেন্টেও সমতা বজায় রাখা হয়েছে। মাল্টি-ডে বা ODI ম্যাচে, প্লেয়িং ইলেভেনের খেলোয়াড়রা দৈনিক ২৫,০০০ টাকা পান। রিজার্ভ খেলোয়াড়রা পান ১২,৫০০ টাকা। T20-তে প্লেয়িং ইলেভেনের খেলোয়াড়রা পাবেন ১২,৫০০ টাকা। আর বাকি খেলোয়াড়রা পাবেন ৬,২৫০ টাকা। এই পরিবর্তন ঘরোয়া মহিলা ক্রিকেটারদের আর্থিক নিরাপত্তার পাশাপাশি, সেইসব তরুণ খেলোয়াড়দেরও অনুপ্রাণিত করবে। যারা খেলাধুলাকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিতে চায়।

পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটারদের দুর্দশা: অন্যদিকে আমরা যদি পাকিস্তানের মহিলা ডোমেস্টিক ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি-র দিকে তাকাই সেক্ষেত্রে তা অত্যন্ত নগণ্য। সেখানে প্রতি ম্যাচে ম্যাচ ফি মাত্র ২০,০০০ পাকিস্তানি রুপি (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬,৪০০ টাকা)। যা ভারতীয় ফি-র তুলনায় যথেষ্ট কম। জুনিয়র স্তরে, এই পরিমাণ আরও কমে যায়। ঘরোয়া ক্রিকেটে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রা মাসিক রিটেনার হিসেবে ৩৫,০০০ পাকিস্তানি রুপি (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১,২০০ টাকা) পান। যা পাকিস্তানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির (১১,৪৪৪ টাকা) চেয়েও কম।
আরও পড়ুন: ৮৪ বলে ১৯০ রান! বছরের শেষে দুর্ধর্ষ বিশ্বরেকর্ড গড়লেন অপ্রতিরোধ্য বৈভব সূর্যবংশী
বেতন কমিয়েছে PCB: জানিয়ে রাখি যে, এই বছরের শুরুতে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করেছিল এবং ওই টুর্নামেন্টের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটে। যার ফলে খেলোয়াড়দের বেতন কমানো হয়। পাকিস্তানের ঘরোয়া মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য ম্যাচ ফি আগে ছিল ২৫,০০০ পাকিস্তানি রুপি। তবে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই বছরের শেষের দিকে তা কমিয়ে ২০,০০০ পাকিস্তানি রুপি করে। যা সেখানকার মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই পার্থক্যটি দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্যও প্রকাশ করে। বর্তমানে ভারতে মহিলা ক্রিকেট দ্রুত এগিয়ে চলেছে এবং খেলোয়াড়রা আরও ভালো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটাররা আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাঁরা কেবল কম ম্যাচ ফিই পান না, মাসের পর মাস বেতন পাওয়া থেকেও বঞ্চিত থাকতে হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন: শুধুই হুঙ্কার! ভারতের সামরিক শক্তির সামনে আদৌ টিকতে পারবে বাংলাদেশ?
মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য সীমিত সুযোগ: উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানে, মহিলা ক্রিকেটারদের ডোমেস্টিক পর্যায়ে খেলার সুযোগ সীমিত। যার প্রভাব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পড়ে। ICC ODI এবং T20 র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান মহিলা দল অষ্টম স্থানে রয়েছে। এর একটি বড় কারণ হল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পুরুষদের ক্রিকেটে বেশি বিনিয়োগ করে। যেখানে মহিলা ক্রিকেট অবহেলার সম্মুখীন হয়। অন্যদিকে, BCCI শুধুমাত্র ঘরোয়া ক্রিকেটেই নয় বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পুরুষ ও মহিলা খেলোয়াড়দের সমান ম্যাচ ফি প্রদান করে।












