বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত (India) আর পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে গোয়েন্দাগিরির অনেক কাহিনী আপনি শুনেছেন, কিন্তু আজকাল এরকমই গোয়েন্দার (SPY) চর্চা হচ্ছে, যেটিকে কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার হীরানগর থানায় ধরা হয়েছে। ওই গোয়েন্দা কোন মানুষ না, ওটি একটি পায়রা (spy pigeon)। ওই পায়রার পায়ে একটি রিং লাগানো আছে। দাবি করা হচ্ছে যে, ওই পায়রা পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। আর ওই পায়রার মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতে গোয়েন্দাগিরি করাতে চাইছিল। এবার সেই পায়রার সাথে জড়িত আরও একটি খবর সামনে আসছে।
পাকিস্তানের এই পায়রার মামলা এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) পর্যন্ত পৌঁছেছে। আর পাকিস্তানের শিয়ালকোট গ্রামে থাকা হাবিবুল্লাহ নামের এক ব্যাক্তি জানিয়েছে যে, তাঁর পায়রা গোয়েন্দাও না আর সন্ত্রাসবাদীও না। এমনকি হাবিবুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ওই পায়রা ফেরত পর্যন্ত চেয়েছেন।
এই মামলা দুদিন পুরনো। কাঠুয়া জেলার চড়বাল এলাকায় এক মহিলার বাড়িতে ওই পায়রা এসে বসেছিল। মহিলা ওই পায়রাটিকে ধরে সীমান্ত রক্ষীর হাতে তুলে দেন। আর উনি একটি লিখিত অভিযোগে দাবি করেন যে, ওই পায়রা পাকিস্তানের এবং তাঁর পায়ে যেই রিং আছে, সেটিতে কিছু কোডেড নাম্বার লেখা আছে।
এরপর সীমান্ত রক্ষীরা ওই পায়রাটিকে তদন্তের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেয়। খবর মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়, এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় আর লেখন চেতন ভগত এই বিষয়ে মন্তব্য করেন। উনি লেখেন, এই পায়রা এখান থেকে কি এমন গোপন খবর নিয়ে যেত, আর কাকেই বা গিয়ে জানাত? আর ওই পায়রা যদি এদেশে ডিম দিত, তাহলে তাঁর বাচ্চা ভারতীয় হত? নাকি সিএএ অনুযায়ী তাঁর সাথে ব্যবহার করা হত?
এরপর এই খবর এত ভাইরাল হয় যে, সোজা পাকিস্তান পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এরপর পাকিস্তান থেকে এই পায়রা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জানা যায় যে, ওই পায়রা শিয়ালকোট গ্রামের বজ্ঞা শকরগড়ের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহর। ওই ব্যাক্তি শখের বসে পায়রা পোষেন। আর তিনি নিজের সব পায়রার পায়েই রিং পড়িয়ে রেখেছেন। আর ওই রিংয়ে ওনার মোবাইল নম্বর লেখা আছে। দুদিন আগেই তিনি পায়রা গুলো উড়িয়েছিলেন, কিন্তু একটি পায়রা আর ফেরত আসেনি।
হাবিবুল্লাহ দাবি করেন যে, ওই পায়রার সঙ্গি এখনো তাঁর কাছেই আছে। আর হাবিবুল্লাহর গ্রাম ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র চার কিমি দূরে। আর হাবিবুল্লাহর পায়রাকে গোয়েন্দার সন্দেহে ভারতে গ্রেফতার করা হয়েছে। যখন গ্রামবাসীরা এই খবর জানতে পারে, তখন তাঁরা সেটি নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন করে যে, ওই পয়রাকে যেন প্রোটোকলের মাধ্যমে সন্মানের সাথে ফেরত দেওয়া হয়।