বাংলাহান্ট ডেস্কঃ G20 দেশের বৈঠকে চীন উপস্থিত না হতে পারলেও পাকিস্তান (Pakistan) ঠিক সেখানে উপস্থিত হয়েছিল। সেখানেও গিয়েও ঋণের সমুদ্রে ডুবে থাকা পাকিস্তান অর্থ ঋণের বিষয়ে কাকতি মিনতি করতে থাকে। সবসময়ই ঋণ নিতে নিতে পাকিস্তানকে এমন নীচে নামিয়ে এনেছে ইমরান খান, সেখান থেকে আর বেঁচে ফেরার কোন পথ নেই পাকিস্তানের কাছে।
চীন সরকারও ঋণ দিতে অস্বীকার করে পাকিস্তানকে
কিছু সময় পূর্বেই নিজের ঝোলা নিয়ে বন্ধুদেশ চীনের কছে সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন পাক সরকার ইমরান খান। কিন্তু উপর উপর বন্ধু বলে জাহির করলেও চীন সরকার জিনপিং তাঁকে একটা পয়সাও দেয়নি। এরপরই বেচারা ইমরান খান অর্থ ঋণ পাওয়ার আশায় G20 দেশের কাছে পৌঁছায়।
G20 দেশের থেকে ঋণ চায় পাকিস্তান
ইমরান খানকে খালি হাতে না ফিরিয়ে G20 দেশের ১৪ জন সদস্য মিলিতভাবে ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমান ঋণ মুকুব করে দেয়। এর অর্থ হল এই বিরাট পরিমাণ অর্থ পাকিস্তানকে আর শোধ করতে হবে না। এর মাধ্যমে বিশ্বের ৭৬ টি গরীব দেশের সঙ্গে পাকিস্তানকে G20-এর ডেট রিলিফের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এই দেশগুলকে করোনা মহামারির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এই বছর আগস্ট মাস পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে ধনী ২০ টি দেশের সম্মিলিত সংস্থা G20 থেকে পাকিস্তান ২.৪ আরব ডলার ঋণ নিয়েছিল।
বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই পাকিস্তানের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে। ঋণ চাইতে চাইতে পাকিস্তানের অবস্থা এমনই হয়ে গেছে, না তাদের কোন লজ্জা আছে, না তাদের সম্মান হারানোর ভয় আছে। যে কারো কাছে ঋণ চাইতে চলে যায় নির্লজ্জ ভাবে। ঋণের সাগরে নিমজ্জিত পাকিস্তান সরকার জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র ঘুরিয়ে দেবার তালে রয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় ইমরান সরকারের উপর ক্ষোভও বাড়ছে।