বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। পাশাপাশি সেদেশের অর্থনীতির অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়ে। এমনকি, সামগ্রিক পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, রীতিমতো বিভিন্ন দিক থেকে আসা ঋণের ওপর ভরসা করতে হয় সেদেশের সরকারকে। তবে, এই আবহেই এবার এক একটি বড় খবর সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম সঙ্কটের মধ্যে থাকলেও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেদেশের জনসংখ্যা। যার ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। এমনকি, গত শনিবারই পাকিস্তানের লাফিয়ে লাফিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্সের প্রথম ডিজিটাল জনগণনার মাধ্যমে জানা গিয়েছে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২.৩৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এহেন পরিসংখ্যান এমন একটা সময়ে সামনে এসেছে যখন পাকিস্তানে দারিদ্রতার এবং বেকারত্বের হার শীর্ষে পৌঁছেছে। শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে “কাউন্সিল অফ কমন ইন্টারেস্ট” (CCI)-এর বৈঠকে জানানো হয়েছে যে, পাকিস্তানের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪.০১ কোটি। পাশাপাশি, ওই বৈঠকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, ওই বৈঠকে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা সবাই সর্বসম্মতিক্রমে মার্চ ও এপ্রিলে সম্পন্ন হওয়া জনগণনার ফলাফল মঞ্জুর করেন। জনগণনার জন্য কর্মীরা তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিটি বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে, সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের পরিবারের বিস্তারিত বিবরণ অনলাইনে মাধ্যমে প্রদান করার বিকল্পও উপলব্ধ ছিল।
নির্বাচনে হতে পারে দেরি: উল্লেখ্য যে, বর্তমানে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সবথেকে যেটি প্রয়োজন সেটি হল নির্বাচনী জেলা নির্ধারণের জন্য সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা। নাহলে বিষয়টি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির (সংসদ) বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ বা ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন ইসিপি সচিব কানওয়ার দিলশাদ এর আগে জিও নিউজকে জানিয়েয়েছিলেন যে সিসিআই যদি ২০২৩ সালের জনগণনাকে মঞ্জুর করে সেক্ষেত্রে নির্বাচন ২০২৪ সালে সম্পন্ন হবে।
পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, “যদি সিসিআই-এর সুপারিশে নতুন ডিজিটাল জনগণনার জন্য একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, সেক্ষেত্রে ইসিপির সংবিধানের ৫১(৫) অনুচ্ছেদের অধীনে নতুন সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা আইনত বাধ্য।” যদি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তার মেয়াদ পূর্ণ করে, তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে এবং যদি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তার মেয়াদ পূর্ণ করার এক দিন আগেও ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হতে পারে। উল্লেখ্য যে, পাকিস্তানের বর্তমান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১২ আগস্ট।