সুন্দরী হতে সেলুনে গিয়ে দাঁড়ি কামাচ্ছেন যুবতী! কাণ্ড দেখে মাথায় হাত সবার, ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দুই গালে লেগে রয়েছে শেভিং ক্রিম (Shaving Cream)। ধীরে ধীরে রেজার টেনে করা হচ্ছে শেভিং। ছেলেদের কাছে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে কোন তরুণী যদি এমনটা করে তাহলে অবাক হবেন তো? সম্প্রতি এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা দেখা গেছে এক সেলুনে (Salon)। যেখানে ছেলেদের মতোই দিব্যি দাড়ি কামিয়ে সেলুন থেকে চলে গেলেন তরুণী। যা দেখে হতবাক নেটিজনরা।

সহজলভ্য ইন্টারনেটে রোজই নিত্যনতুন কাণ্ডকারখানা সামনে আসে। কখনও হাসির কিছু তো কখনও আবার হৃদয় বিদারক দৃশ্য। এক কথায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ময়ের শেষ নেই। এটাও এরকমই এক বিস্ময়কর ঘটনা বটে বৈকি। কোন মেয়েও যে শেভিং ক্রিম মেখে দাড়ি কামাতে পারে তা ছিল কল্পনারও অতীত।

   

আসলে হালফিলের ছেলে মেয়েরা রূপচর্চায় পিছিয়ে নেই কেউই। প্রত্যেকেরই চেষ্টা থাকে নিজেকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তোলার। যে কারণে বিউটি পার্লার, স্যালন কিংবা সেলুনে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। মেয়েদের পার্লারে যেমন চলে থ্রেডিং, ওয়াক্সিং, আপার লিপস, তেমনই আবার ছেলেদের দাড়ি-গোঁফ কামানোর দৃশ্যই বেশি চোখে পড়ে।

তবে কোন মেয়েকে ছেলেদের সেলুনে বসে দাড়ি কামাতে দেখেছেন কি? সম্প্রতি Cyber_Huntss নামে এক টুইটার পেজ থেকে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। ভাইরাল এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী বসে রয়েছে সেলুনের আয়নার সামনে। তার দুই গালে লেগে রয়েছে শেভিং ক্রিম। আর এক সেলুন কর্মী লেজার দিয়ে তরুণীর শেভ করছেন। কাজ হয়ে গেলে উঠে চলে গেলেন তরুণী।

অবাক করা এই ভিডিওটি দেখে তাজ্জব হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে ‘প্রকৃতির নিয়মই হল পরিবর্তন।’ আর প্রকৃতির পরিবর্তন দেখে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়। কমেন্ট বক্সে উপচে পড়েছে মজার মজার সব মন্তব্য। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪ লাখের বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন।

https://twitter.com/Cyber_Huntss/status/1686938592202084353?s=20

উল্লেখ্য, গত বছরও এরকমই এক অদ্ভুত ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে এক মহিলা জানিয়েছিলেন যে, তিনি নিয়মিত শেভিং করেন। তিনি বলেন, রোজ শেভিং করলে ত্বকের মরা কোষ ও তেল দূর হয়ে যায়। ত্বককে স্বাস্থ্যজ্বল ও ঝলমলে রাখতে শেভিং করা দরকার বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেইবার সেই ভিডিওটি ঘিরেও বেজায় চর্চা হয়েছিল।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর