বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্রমশ দানা বাঁধছে পল্লবী দে (Pallabi Dey) মৃত্যু রহস্য। রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রীর দেহ। সোমবার তাঁর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পল্লবীর বাবা মা। তাঁদের অভিযোগ, সাগ্নিক ও তাঁর বান্ধবী মিলেই খুন করেছেন অভিনেত্রীকে।
সাগ্নিককে ইতিমধ্যেই জেরা করা হচ্ছে পুলিসের তরফে। তল্লাশি চালানো হয়েছে গড়ফার ফ্ল্যাটেও। গত দেড় মাস ধরে ওই ফ্ল্যাটে লিভ ইন করতেন সাগ্নিক পল্লবী। পুলিস সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে হুক্কা, গাঁজার মতো নেশার জিনিসপত্র।
পল্লবীর মোবাইল ফোন ঘেঁটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকালেই মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগেই নাকি পরিচারিকাকে ফোন করেছিলেন তিনি। পরিচারিকাকে আসতেও বলেছিলেন অভিনেত্রী। তার মিনিট দশেক পরেই মৃত্যু হয় পল্লবীর। পরিচারিকা জানিয়েছেন, পল্লবী ও সাগ্নিকের মধ্যে নাকি প্রায়ই আর্থিক বিষয় নিয়ে গণ্ডগোল বাঁধত। জিনিসপত্র ভাঙচুরও করতেন দুজনে।
পল্লবীর বাবার অভিযোগ, সাগ্নিক নাকি বিভিন্ন সময়ে তাঁর থেকে টাকা নিতেন। ব্যাঙ্কে আর্থিক লেনদেনের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বাবা। শুধু তাই নয়, সাগ্নিক নাকি আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। আর সেই বিয়ের রেজিস্ট্রির সময়ে নাকি উপস্থিত ছিলেন পল্লবীও।
এদিকে পল্লবী ছাড়াও আরো এক মহিলার সঙ্গে নাকি সম্পর্কে ছিলেন সাগ্নিক। তিনি অভিনেত্রীরই এক বান্ধবী। পল্লবী শুটিংয়ে চলে গেলেই সেই মহিলা নাকি তাঁদের ফ্ল্যাটে আসতেন। সম্প্রতি সেকথা জেনে যান অভিনেত্রী। তারপরেই শুরু হয় বিবাদ। কিন্তু সাগ্নিক দাবি করেছিলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য নাকি আবেদন করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, পল্লবীর বাবার আরো অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ধরে মারধোর করতেন সাগ্নিক। অভিনেত্রীর সহকর্মীরা তাঁর শরীরে মারের দাগ দেখেছেন। পল্লবীর বাবার অভিযোগ, সাগ্নিক ও তাঁর বান্ধবীই অভিনেত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ী।