বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমজনতার হেঁশেলে মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় আগুন লেগে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পাতের লেবুটিও হয়ে উঠেছে মহার্ঘ্য। এই পরিস্থিতিতে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত আমজনতা। এমনিতেই এই মুহূর্তে ভোজ্য তেলের যা দাম, তাতে মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ রয়েছেই। তবে ইন্দোনেশিয়ার নয়া সিদ্ধান্তে কিঞ্চিৎ স্বস্তি মিলল মধ্যবিত্তের জীবনে।
গত ২৮ এপ্রিল আচমকা পাম তেল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইন্দোনেশিয়া। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাধ্য হয়ে পাম তেলের রফতানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পথে হেঁটেছে এশিয়ার এই দেশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাম তেলের উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া। প্রতি বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রায় ৮০ লাখ টন পাম তেল আমদানি করে ভারত। যা দেশের ৪০ শতাংশ ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ করে। সেই পাম তেলের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইন্দোনেশিয়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কার পর ইন্দোনেশিয়ার সেই সিদ্ধান্ত ভারতের বাজারে সরষের-সহ ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে যায়। অবশেষে পাম তেলের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ইন্দোনেশিয়া।
ইতিমধ্যেই, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহায় জানানো হয়েছে যে, চাহিদার তুলনায় ইন্দোনেশিয়ায় ঢের বেশি পাম তেল তৈরি হয়। তাই পাম তেলের রফতানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা যে তুলে নেওয়া হবে, তা প্রত্যাশিত ছিল। তবে যে সময় সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, তার অনেক আগেই ইন্দোনেশিয়া সেই পথে হাঁটল। তার ফলে ভারতীয় বাজারে যে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণে আসবে। কমবে দাম।