বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জেলায় জেলায় চলছে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ (duare sarkar) ক্যাম্প। সেই সকল ক্যাম্পগুলিতে মানুষের উপছে পড়া ভিড়ও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই শিবিরের খরচ নিয়ে চিন্তায় রয়ছেন বহু পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, উপর মহলকে টাকার জন্য আবেদন করেও, সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলায় জেলায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের জন্য ক্যাম্প করা হয়েছে। কোন কোন জায়গায় আবার করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে একাধিক শিবিরও করা হয়েছে। সেই কারণে প্যান্ডেল বাঁধা, কর্মীদের খাওয়া খরচ, বিদ্যুতের বিল, ইন্টারনেটের বিল বর্তমানে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকেই খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু খরচ করা সেই টাকা এখনও প্রশাসনের উচ্চ স্তর থেকে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত স্তরে এবং ব্লক প্রশাসনের।
বিষয়টা হল পূর্ব বর্ধমানে পঞ্চায়েতের সংখ্যা ২১৫। সেখানে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। অধিকাংশ আধিকারিকি ওই শিবিরে ব্যস্ত থাকায় অনেক কাজের ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত স্তরে এবং ব্লক প্রশাসনের অনেকে দাবি করেছেন, শিবির আয়োজনের জন্য খরচ করা অর্থ এখনও পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানালে, এক কর্তা জানিয়েছেন, নবান্ন থেকে টাকা এলে আর্থিক ভাবে দুর্বল পঞ্চায়েতগুলিকে সাহায্য করা হবে।
এই বিষয়ে ভাতার পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান পরেশচন্দ্র চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘শিবিরের আয়োজন করতে কমপক্ষে তিন লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এত টাকা কোথা থেকে পাব?’ অন্যদিকে মেমারির আমাদপুরের তৃণমূলের প্রধান সাধনা হাজরা, বাগিলার প্রধান অরিন্দম ঘোষাল, রায়না ২ ব্লকের বড়বৈনান পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রামচন্দ্র পাল জানিয়েছেন, ‘তহবিলের অবস্থা খুব খারাপ। তার মধ্যে শিবিরের আয়োজন করতে গিয়ে অনেক টাকা বেরিয়ে গেছে। বিডিও-র কাছে তাই টাকা চাইছি’।