বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা থেকে দুবাই যেতে চান, আর ধরতে হবে না বিমান। কারণ সরাসরি মিলবে স্টেট বাস। আর বাসে চেপেই আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন বুর্জ খলিফায়। দুবাইয়ের সবথেকে বড় বিল্ডিংয়ের সামনে সামনি পৌঁছাতে আর কোন কসরত করতে হবেনা কলকাতাবাসীকে। বাসের সামনেও সরাসরি রয়েছে এমনই বিজ্ঞাপন। আসলে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা এখন হয়ে গেছে শ্রীভূমি। আর তাই বাসের গায়ে লেখা “শ্রীভূমি যাইবে বুর্জ খলিফা যাইবে”। দুবাইয়ের সব থেকে বড় বিল্ডিংয়ের শিরোপা পাওয়া এই সুদৃশ্য ভবনটির আদলেই বানানো হয়েছে শ্রীভূমি পূজা মন্ডপ। যা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে চূড়ান্ত উৎসাহের আবহ।
দ্বিতীয়া থেকেই দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর পরিচালিত এই পুজো দেখতে ভিড় করছেন দর্শকরা। কোভিড বিধিনিষেধের ভয় প্রায় নেই বললেই চলে। এখন সবকিছু দূরে সরিয়ে কলকাতার প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি এই মন্ডপ। বুর্জ খলিফা নিয়ে আলোচনা এবং বিতর্ক দুই তৈরি হয়েছে। কারণ ভিড় দেখে রীতিমতো চক্ষুচড়কগাছ চিকিৎসাবিদদের। শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের দৌলতে এখন রীতিমতো ভাইরাল এই মন্ডপ।
তবে এই মন্ডপ সমস্যাও তৈরি করেছে অনেকের জন্য। অসুবিধার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে বিমান চালকদেরও। সাধারণত বিমানবন্দরের কাছাকাছি কোন এলাকায় লেজার লাইট জালানো নিষিদ্ধ, এমনকি ফানুসও ওড়ানো যায় না। এতে অসুবিধা হয় বিমান চালকদের। কিন্তু ১৪০ ফুট উঁচু বুর্জ খলিফার এই মন্ডপ পুরোটাই সাজানো হয়েছিল লেজার লাইট দিয়ে। যার জন্য রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বিমান চালকদের।
তিনটি আলাদা আলাদা বিমানের পাইলটরা কলকাতার ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল’ (এটিসি)-তে অভিযোগ জানান এই বিষয়ে। যার ফলে বন্ধ করতে হয় এই লেজার লাইটের খেলা। শ্রীভূমি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পাইলটদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। যদিও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ফোন ধরেননি। তবে সব মিলিয়ে এখন কলকাতার শ্রীভূমি যে পরিণত হয়েছে ছোট্ট দুবাইয়ে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।