বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাঙালির হিসেবে সপ্তাহে অন্তত একটা দিন নিরামিষ পদ রান্না করা। আর সেখানে ডাল অথবা তরকারি যতই থাকুক না কেন। তার পাশাপাশি রান্না করা হয় পনির (Paneer)। তবে বর্তমান দিনে বাজারে যে পনির কিনতে পাওয়া যায় তাতে কিন্তু অধিকাংশ পনির ভেজাল হয়। আর ভেজাল পনির দীর্ঘদিন খেলে পরে শরীরের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পনিরের নামে রাসায়নিক! নিরামিষ দিনেও থালায় ঢুকছে বিষ (Paneer)
ভেজাল পনিরে ভেজিটেবিল অয়েল ও স্টার্চ মিশানো থাকে। এছাড়া এমন কিছু পদার্থ দেওয়া থাকে যার মাধ্যমে প্রাণিস সহজে জমাট বেঁধে যায়। যদি ওইগুলো অবিকল পনিরের (Paneer) মতনই দেখতে হয়। এছাড়াও এর মধ্যে ক্ষতিকারক পদার্থ মেশানো থাকে। তাই এই পনির গুলিকে অ্যানালগ পনির ও বলা হয়।

আরও পড়ুন: রোদে থেকেও শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি? পুষ্টিবিদের পরামর্শ, ভরসা রাখুন এই ৩ রকম স্মুদিতে
এছাড়াও এতে প্রোটিন বা ক্যালসিয়াম কিছুই থাকে না। মূলত খাঁটি দুধ থেকে একেবারেই তৈরি হয় না এই পনির গুলো। এই ধরনের পনির খেলে পরে হজমের সমস্যা, পুষ্টির ঘাটতি ও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা আপনার দেখা দিতে পারে।
কী ভাবে বুঝবেন পনির ভেজাল মেশানো রয়েছে কী না?
১)গরম জলে এক টুকরো পনির ফেলুন। পনির গলে যাবে না। বরং, নরম হয়ে উঠবে। কিন্তু নকল পনির হলে তা জলে গলে যেতে পারে কিংবা জলে তেল ভেজে উঠবে।
২)এক টুকরো পনির আগুনে পোড়ান। দেখবেন পোড়া দুধের মতো গন্ধ ছাড়ছে। কিন্তু ভেজাল পনির আগুনে পোড়ালে প্লাস্টিক পোড়ার মতো গন্ধ ছাড়বে।
৩)পনির খাঁটি হলে তার টেক্সচার নরম অথচ শক্ত হবে। মুখে দেওয়া মাত্রই পনির মিলিয়ে যাবে। কিন্তু ভেজাল থাকলে পনিরের টেক্সচার রাবারের মতো হবে।
৪)গরম প্যানেও পনির দিয়ে দেখতে পারেন। যদি দেখেন, পনির থেকে জল বেরোচ্ছে কিংবা অসম ভাবে গলে যাচ্ছে, বুঝবেন এতে ভেজাল মেশানো রয়েছে।













