বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিশাল বড় রানের আশা জাগিয়েও ২৮৭ তেই আটকে যেতে হলো ভারতকে। অথচ শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন ভারতীয় ওপেনাররা। পাওয়ার প্লে-তে একসময় ওভার প্রতি ছয়ের বেশি করে রান তুলছিল ভারত। বাধ্য হয়ে পাওয়ার প্লে-তেই স্পিনার আনতে বাধ্য হন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা।
স্পিনার আসতেই রানের গতিতে লাগাম লাগে। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধাওয়ান। ভালো শুরু করলেও ৩৮ বলে ২৯ রান করে এইডন মার্করমের শিকার হতে হয় তাকে। কিন্তু এরপরে খাতা খোলার আগেই বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে ভারতকে বড় ধাক্কা দেন কেশব মহারাজ।
এরপরে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল-কে সাথে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন রিশভ পন্থ। রাহুল একদিক ধরে রেখেছিলেন, আর বড় শট খেলে বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন পন্থ। দুজনেই অর্ধশতরানের গন্ডি পেরিয়ে যান। কিন্তু এরপর সিসান্ডা মাগালার বল লেগসাইডে পুশ করতে গিয়ে ভ্যান ডার ডুসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাহুল। ৭৯ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। লেগস্পিনার সামসির বলে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে মার্করমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পন্থও। ১০ টি চার ও ২ টি ছক্কা সহযোগে ৭১ বলে ৮৫ করে আউট হন তিনি।
একসময় সহজেই ৩০০ পেরোতে পারে মনে হলেও পন্থ আউট হওয়ার পর চিন্তা বেড়েছিল ভারতের। রানের গতি কমে গিয়েছিল। মাত্র ১১ রান করে আউট হন শ্রেয়স আইয়ারও। ৩৩ বলে ২২ রান করে ফিরে যান ভেঙ্কটেশ আইয়ারও। কিন্তু শেষদিকে শার্দূল ঠাকুরের ৩৮ বলে ৪০ এবং অশ্বিনের ২৪ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে স্কোরবোর্ডে ২৮৭ রান তোলে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খরুচে বোলিং করেও ২ উইকেট নেন তাবারাজ সামসি। একটি করে উইকেট মাগালা, মার্করম, মহারাজের।