বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিপাড়ার চর্চায় এখন একটাই নাম, নুসরত জাহান (nusrat jahan)। দু সপ্তাহের বেশি হয়ে গিয়েছে মা হয়েছেন সাংসদ অভিনেত্রী। কোল আলো করে এসেছে ছোট্ট ছেলে ঈশান। তবে অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময়েও সন্তানের বাবার পরিচয় প্রকাশ করেননি নুসরত, আর সন্তানের জন্মের পরেও এখনো আড়ালেই রেখেছেন তার পিতৃপরিচয়। নুসরতের কথায়, মায়ের পরিচয়েই বড় হবে তাঁর সন্তান।
এ বিষয়ে ইন্ডাস্ট্রির অনেককেই পাশে পেয়েছেন নুসরত। তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সতীর্থরা। তবে এই প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্ন মত পোষন করেন বিজেপি কর্মী তথা অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী (papiya adhikari)। তাঁর মতে, একজন সাংসদ হয়ে মিথ্যাচার করছেন নুসরত। সমাজের কথা ভেবেই তাঁর উচিত সন্তানের পিতৃপরিচয় সামনে আনা।
সংবাদ মাধ্যমকে পাপিয়া বলেন, সিঙ্গল মাদার হওয়ার কিছু শর্তও থাকে। নুসরত সমাজের একজন গুরুতৃবপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ভারত উপনিষদ, গীতা, বাইবেল, কোরানের দেশ। এ দেশবাসীর কিছু আদর্শ রয়েছে। একজন সাংসদ হয়ে নুসরত বলছেন তাঁর বিয়েটা বিয়ে নয়, তাঁর সন্তানের কোনো পিতৃপরিচয় নেই, এটা সমাজে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন পাপিয়া। তাঁর কথায়, “নুসরত মিথ্যাচার করছেন। সমাজের মাথা হয়ে বসে এই কথাগুলো বলতে পারেন না তিনি।”
পাপিয়া আরো বলেন নুসরতের একা মা হওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি নন। কিন্তু যেহেতু তিনি একজন সাংসদ তাই এ কাজ তিনি করতে পারেন না। নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে বা অন্য কাউকে ভালবাসার অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু সন্তানের পিতৃপরিচয় লোকাতে পারেন না নুসরত। ভবিষ্যতে এর জন্য তাঁর ছেলেকেও সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে মনে করেন পাপিয়া।
এর আগে একটি ইভেন্টে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সন্তানের পিতৃপরিচয়ের ব্যাপারে নুসরত বলেছিলেন, ‘বাবা জানে বাবা কে। কোনো মহিলাকে এ ধরনের প্রশ্ন করা মানে তার মাতৃত্বকে অপমান করা।’ অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের উত্তরে পাপিয়া বলেন, “এটা নুসরতের জেদের কথা। সাংসদ হয়ে এই জেদ তাঁকে মানায় না। এই বিষয়ের সমাধান নুসরতকেই বার করতে হবে।”
সদ্য রাজনীতির মঞ্চ থেকে নেমে ফের অভিনয়ে ফিরেছেন পাপিয়া অধিকারী। ছোটপর্দায় একটি নতুন সিরিয়ালে যোগ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও একটি নতুন ছবি পরিচালনার কাজেও হাত দিয়েছেন তিনি। ছবির নাম ‘মাদার ইন্ডিয়া’। একজন পতিতালয়ের নারীর সিঙ্গল মাদার হয়ে ওঠার গল্প বলবে এই ছবি। মূল চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।