বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ছেলেদের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত শোনাল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। ১৮ বছর পর্যন্ত নয়, এবার থেকে ছেলেকে স্নাতক বানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তাঁর পিতা মাতার। অর্থাৎ স্নাতক না হওয়া পর্যন্ত ছেলের দায়িত্ব তাঁর বাবা মায়ের। এমনই রায় শোনালেন পারিবারিক আদালতের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি এমআর শাহের একটি বেঞ্চ।
বিচারপতিরা জানিয়েছেন, আজকের দিনে যা পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে করে শুধুমাত্র ১৮ বছর পর্যন্ত ছেলের দায়িত্ব নিলে চলবে না। যতদিন না ছেলে স্নাতক হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সে বাবা মায়ের তত্ত্বাবধানে থাকবে। কারণে কলেজে শেষে করলেই তবে এখন একটা বেসিক ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
বিষয়টা হল, ২০০৫ সালে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত কর্মী তাঁর স্ত্রীর অন্য ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন অভিযোগ করে ডিভোর্সের কেস ফাইল করে। তাদের দুজনের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেলেও, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে পারিবারিক আদালতের রায় অনুযায়ী তাদের ছেলের জন্য প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয় ওই ব্যক্তিকে।
আদালতের এমন রায় শোনার পর ওই ব্যক্তি আবারও আদালতের দারস্থ হন। কারণে তিনি প্রথম স্ত্রীয়ের থেকে ডিভোর্স পাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন এবং তাঁর দুটি সন্তানও আছে। আর অন্যদিকে তাঁর মাসিক আয় প্রায় ২১ হাজার টাকা। তাই এই পরিস্থিতিতে তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলের ভরণপোষণের জন্য মাসিক ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
কেসটা কোর্টে উঠলে আদালতে শিশু ও মায়ের পক্ষে হাজির হয়ে অ্যাডভোকেট গৌরব আগরওয়াল প্রস্তাব দেন, ‘ছেলের ভরণপোষণের জন্য দেওয়া টাকার পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। তবে ছেলে স্নাতক না হওয়া পর্যন্ত এই ভরণপোষণ চালিয়ে যেতে হবে তাঁর বাবাকে’।
অ্যাডভোকেট গৌরব আগরওয়ালের এই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে আদালতের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে, ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে ছেলের ভরণপোষণের জন্য বাবা প্রতিমাসে ১০০০০ টাকা করে দেবে এবং প্রতি বছরে ১ টাকা করে বাড়াবে। ছেলে স্নাতক না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়মের অন্যথা করা যাবে না।