বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় বর্তমানে সরগরম হয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। বেআইনিভাবে নিজের মেয়েকে চাকরিতে ঢুকিয়ে দেওয়ার কারণে সম্প্রতি সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে হয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। গতকাল তার মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কলকাতা হাইকোর্ট আর এর মাঝেই তৃণমূল নেতার ছেলেকে নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হল।
উল্লেখ্যজ পরেশ অধিকারীর পুত্র হীরক জ্যোতি অধিকারী পেশায় একজন ডাক্তার। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ডাক্তারী ডিগ্রী নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় 3-4 বার ফেল করা মন্ত্রীপুত্র কিভাবে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাশ করলো, এহেন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বর্তমানে। পরেশ অধিকারীর পুত্রকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়ে উঠেছেন জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির বিজেপি সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায়। তিনিই প্রথম মন্ত্রীপুত্রের মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিন চার বার ফেল হওয়ার খবরটি জনসমক্ষে তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, হীরক জ্যোতি অধিকারী বর্তমানে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ চ্যাংড়াবান্ধা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অস্থায়ী ডাক্তার হিসেবে কাজ করে চলেছে। কিছুদিন পূর্বে রামকৃষ্ণ মঠ শিশু বিদ্যাপীঠের পক্ষ থেকে তাদের প্রাক্তন ছাত্র হীরককে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং সেখানে তাকে পুরস্কার দিয়ে সম্মানও জানান তাঁরা। এই ঘটনাটি ফেসবুকে পোস্ট করার পরেই সরব হয়ে ওঠেন দধিরাম বাবু। তিনি বলেন, “মাধ্যমিকে তিন থেকে চার বার ফেল করেছিল হীরক। সেই এখন ডাক্তার হয়ে গিয়েছে।”
এছাড়াও তিনি বলেন, “তেল মনে হয় একটু কম পড়েছে। হীরককে স্মারক দিয়ে ছোট করা হলো। ওকে নোবেল শান্তি দেওয়া উচিত ছিল। ওটাই ওর প্রাপ্য সম্মান।” এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, মাধ্যমিক পরীক্ষায় বারংবার ফেল করা সত্ত্বেও স্কুলের তরফ থেকে কিভাবে তাকে সম্মাননা দেওয়া হলো এবং ডাক্তারি পরীক্ষার ডিগ্রিও বা কি করে অর্জন করল সে?
সম্প্রতি, পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে গোটা রাজ্যে। বেআইনিভাবে চাকরিতে প্রবেশ করার অপরাধে গতকাল হাই কোর্ট দ্বারা তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং সমস্ত বেতন ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাকে স্কুলে ঢুকতে পর্যন্ত বারণ করেন। এই পরিস্থিতিতে যখন এক প্রকার দেওয়ালে পিঠ ঠেকার মত অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর, সেই মুহূর্তে ছেলের ডাক্তারি ডিগ্রী নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাওয়ায় চাপ আরও বৃদ্ধি পেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।