বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের একাধিক সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী থেকে ব্লক স্তরের নেতাও উপস্থিত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে, অথচ সেই মঞ্চেই প্রবেশ করতে পারলেন না দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল (Paresh Pal)। দুপুরের রোদের মধ্যে তাঁকে দেখা গেল ধর্মতলার একপাশে বসে থাকতে। মাথায় রুমাল বেঁধে ক্লান্ত মুখে তিনি বললেন, ‘মাথা ঘুরছে।’
সুত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, সভা শুরুর অনেক আগেই ধর্মতলার আশপাশে ঢল নামে মানুষের। এই সময় বিধায়ক পরেশ পাল (Paresh Paul) কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে প্রবেশ করা যাচ্ছিল শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কার্ড দেখিয়ে। অভিযোগ, পরেশবাবুর (Paresh Paul) গলায় কার্ড থাকলেও তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি গেটের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। এক কর্মী তাঁকে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে বসতে সাহায্য করেন। স্থানীয়রা চিনলেও, “উনি আমাদের বিধায়ক!” বললেও লাভ হয়নি।
পরেশবাবুর (Paresh Paul) গলায় আক্ষেপ, ‘কেউ চিনতেই পারল না’
পরেশ পাল (Paresh Pal) বলেন, “প্রতি বছর তো থাকি। আজ হঠাৎ এই অবস্থা কেন, বুঝলাম না। মাথা ঘুরছে। রোদের মধ্যে বসে আছি।” পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “এটা খুবই লজ্জার। একজন বর্ষীয়ান বিধায়ককে কেউ চিনল না!” পরেশবাবুর চোখেমুখে ক্লান্তি। বারবার জল খাচ্ছেন। পাশে থাকা লোকজন তাঁকে একটু ছায়ার মধ্যে বসার অনুরোধ করলেও তিনি সরে যাচ্ছেন না।
পরেশ পালের (Paresh Paul) সঙ্গে এই আচরণ কি নিছকই ভুল? নাকি তৃণমূল (TMC)-এর অন্দরে ক্রমশ বাড়তে থাকা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই চেহারা? দলের একাংশ বলছে, বেলেঘাটা এলাকায় পরেশবাবুর জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও ইদানিং তিনি কোণঠাসা। এমনকী আজ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও ঢুকতে না পারাও একটা রাজনৈতিক বার্তাও বয়ে আনছে।
আরও পড়ুনঃ “আমি একা দশজনকে নেব”, শহীদ মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মমতা
এই ঘটনায় ফের আঙ্গুল উঠেছে দলের দিকে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, যাঁরা দলের ভিতরে এতদিন ধরে অবদান রেখেছেন, তাঁদেরই যদি এমন অপমানের মুখে পড়তে হয়, তবে বাকিদের কী দশা হবে? পরেশবাবুর কষ্ট, তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। মুখে কিছু না বললেও চোখে ছিল বিস্ময়, ব্যথা, আর প্রশ্ন, “এই কি আমারই দল?”