বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর মুখে খুলল না ভাগ্য! নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহাদের জামিন মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। তবে এদিন শুনানি শেষে আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি অরিজিত ব্যানার্জি ও অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। পুজোর পর এই মামলার রায়দান হবে বলে জানানো হয়েছে।
আগেই হাইকোর্ট জানিয়েছিল পুজোর আগে পার্থর জেলমুক্তির সম্ভাবনা কম। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠলে বিচারপতির মন্তব্য, ‘মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। পুজোর আগে জামিন কার্যত অসম্ভব।’ ওদিকে দু’দিন আগেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানালে সিবিআই এর আর্জি মঞ্জুর করে আদালত।
ওদিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডির মামলায় জামিনের আর্জিটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। শীর্ষ আদালতে সেই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অক্টোবর। অর্থাৎ পুজোর পর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুজোর আগে যে পার্থ জেল থেকে বেরোতে পারবেন না তা আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল।
এই নিয়ে টানা তিন বছর জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই পুজো কাটাবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২২ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করে ইডি। তারপর থেকেই প্রাক্তন মন্ত্রীর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেল। সেবছর জুলাই মাসেই পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা সহ কেজি কেজি সোনার গয়না উদ্ধার করে তদন্তকারী সংস্থা। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার পাহাড় উদ্ধারের পর গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকেও।
আরও পড়ুন: ‘মোদীর অধীনস্থ দফতরকে যুক্ত করুন’, তলব হলফনামাও, হাইকোর্টে জোর বিপাকে বিনীত গোয়েল
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে সিবিআইও। এসএসসিতে নিয়োগের মামলায় সিবিআই-ও পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার করে পার্থ-অর্পিতাকে দুজনকেই। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে বহুবার জামিনের আবেদন জানিয়েছেন পার্থ-অর্পিতা দুজনেই। কিন্তু সুরাহা হয়নি। একাধিকবার ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বে পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। শেষবার হাই কোর্টে জামিনের সপক্ষে পার্থের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, তিনি আর প্রভাবশালী নন। সেই সূত্রে সদ্য জামিন পাওয়া অরবিন্দ কেজরীওয়াল, অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছিলেন পার্থের আইনজীবী।