সব মামলায় জামিন পেয়েও জেলবন্দী! মুক্তি পেতে এ বার বড়সড় পদক্ষেপ, কি করতে চাইছেন পার্থ?

Published on:

Published on:

Partha Chatterjee expresses frustration over slow trial on recruitment corruption case

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ২০২২ সালের জুলাই থেকে তিনি আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সব ক’টি মামলাতেই ইতিমধ্যেই জামিন মঞ্জুর হয়েছে। তবুও এখনও জেল মুক্তি পাননি তিনি। এবার জেল থেকে বেরতে মরিয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের পক্ষেই নিজে সওয়াল করতে চান বলে জানালেন আদালতে।

সুপ্রিম কোর্টের শর্তে আটকে মুক্তি পার্থর (Partha Chatterjee)

ইডি ও সিবিআইয়ের সব মামলাতেই জামিন পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গত ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট থেকেও নিয়োগ দুর্নীতির শেষ মামলায়ও তিনি জামিন পান। কিন্তু, এখনও জেল থেকে বেরোতে পারেননি তিনি। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট গত ১৮ অগস্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, চার সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতকে চার্জ গঠন করতে হবে এবং পরবর্তী দু’মাসে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের জবানবন্দি নথিবদ্ধ করতে হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই মুক্তি পাবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শুনানিতে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিচার প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত শেষ হয়, তার জন্য দরকারে নিজের হয়ে নিজেই সওয়াল করব। আমার কেসে (গ্রুপ সি) ১৪ তারিখ (নভেম্বর) পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, যেভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে কিছু বোঝা যাচ্ছে না।”

Partha Chatterjee expresses frustration over slow trial on recruitment corruption case
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলাদেশকেও হার মানাচ্ছে’, কালী মূর্তির পর বাংলার মাটিতে জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় স্তম্ভিত শুভেন্দু

মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) আদালতকে জানান, বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণে বিলম্বই তাঁর মুক্তির পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের গতি না বাড়ালে বিচার শেষ হতে আরও সময় লাগবে, ফলে জেল থেকে বেরতে আরও দেরি হবে। এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন পার্থ। এখন পার্থর এই দাবিতে আদালত কি সিদ্ধান্ত নাই সেটাই দেখার।