বাংলা হান্ট ডেস্ক: করিমপুর জয়প্রকাশ মজুমদার এর উপর হামলা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে। তিনি সেখানে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘লাথিটা কার দেখতে হবে। সেটা বিজেপির না জনগণের।’ রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে এই কথার মাধ্যমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি তাহলে হামলাকারীদেরই সমর্থন করছেন?। রাজনীতিতে বিরোধী নেতানেত্রীদের শারীরিক নিগ্রহ সমর্থন পাবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, অন্যদিকে আবার বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর হামলা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘রাস্তার ধারে হাঁটতে জানেন না। তাই হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছেন।’ শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, ‘জয়প্রকাশ জানেন না, কীভাবে পা ফেলতে হয়।’ এমনকি জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মারার ভিডিও কে মিডিয়ার গিমিক বলে মন্তব্য করেছেন অনুব্রত।
এদিন উপনির্বাচনের ফল প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে অনুব্রত কে, তিনি মন্তব্য করে বলেন, ‘জেতা নিয়ে দরকার। তাঁরাই জিতবেন। যে একটা ভোটে জিতবে, সেই সিকান্দার।’
উল্লেখ্য, করিমপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা উত্তেজনা ছড়াতে মাঠে নেমে পড়ে। করিমপুরে একটা বড়ো ঘটনা ঘটতে পারে তার আভাস গতকাল সকাল থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। আর একটু বেলা বাড়তেই উৎপাত শুরু করে তৃণমূল। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর আক্রমন করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। তারিকুল শেখ, হাবিবুর রহমান শেখ, মাসাদুল আলম, কালাউদ্দিনের নেতৃত্বে বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানো হয়।
আক্রমনের সময় পুলিশ ও কেন্দ্রবাহিনী দুই উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা শুধুমাত্র দর্শক হয়ে থেকে যায়। দুপুরে ঘিয়াঘাট ইসলামপুর বিদ্যালয়ে এসে বেশকিছু সন্দেহজনক ঘটনা চোখে পরে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশের। বুথের মধ্যে এক পোলিং এজেন্টের কাছে দূটি ফোন, বুথ এর পাশের ঘরে ১১ জন মিলে রান্না করতেও দেখেন জয়প্রকাশ। আর এর প্রতিবাদ করা মাত্র পরিস্থিতি ঊত্তপ্ত হয়ে উঠে। গুন্ডা বাহিনী জয়প্রকাশকে মারধর করতে শুরু করে। কিল, চড় মেরে তাকে ঝোঁপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়।