বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, এসএসসি (SSC) দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। প্রথমে ইডি (Enforcement Directorate), পরবর্তীতে জেল হেফাজত আর বর্তমানে সিবিআই (CBI) হেফাজতে রয়েছেন পার্থ আর এর মাঝেই এদিন আদালতের কাছে পেশ করা প্রাথমিক চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, “নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়।”
সম্প্রতি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ অর্থ এবং একাধিক সোনা গয়না উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। পরবর্তীতে পার্থ-অর্পিতার নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি এবং একাধিক বিস্ফোরক তথ্যের সন্ধান পায় তদন্তকারী অফিসাররা। এর মাঝেই কয়েকদিন পূর্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। আর এদিন অবশেষে আদালতের নিকট একটি প্রাথমিক চার্জশিট পেশ করল তারা।
উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অশোক সরকার, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং শান্তি প্রসাদ সিনহার মতো মোট ১৬ জনের নাম থাকার পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে যে, “পার্থ এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার মাস্টারমাইন্ড।” উক্ত মামলায় প্রথম থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর আইনজীবীরা দাবি করে আসছেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে কারচুপি হয়েছে, সেই সম্পর্কে কোন কিছুই জানতেন না প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব।
তবে এদিন সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে পাল্টা বলা হয়েছে, দুর্নীতির বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে অবগত ছিলেন পার্থ। সিবিআইয়ের চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, “দুর্নীতি মামলায় নিয়োগ কোথায় কিভাবে হবে এবং কারা কারা তার সঙ্গে যুক্ত থাকবে, সব সম্পর্কেই অবগত ছিলেন পার্থবাবু। একইসঙ্গে চাকরিতে কাকে ঢোকাতে হবে, কিভাবে সকল প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সবের নিয়ন্ত্রণে থাকতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।”
পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি এবং শান্তি প্রসাদ সিনহা, অশোক সরকারের মতো শিক্ষা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে। তবে শুধুমাত্র সিবিআইয়ের চার্জশিটই নয়, এর আগেও বাগ কমিটির রিপোর্টে এসএসসি উপদেষ্টা কমিটিকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করা হয়; যা তৈরি করেছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফলে সবমিলিয়ে অতীতে বাগ কমিটির রিপোর্ট এবং বর্তমানে সিবিআইয়ের চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অস্বস্তি যে আরো বাড়ল, তা বলাবাহুল্য।