বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দোল, হোলি (Holi) কেটে গিয়েছে। রঙিন উৎসবের পর এখনও অনেকের গা থেকে রঙ ওঠেনি। তবে সবার কী আর বসন্ত রঙিন হয়! গোটা রাজ্যের মানুষের পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের বন্দিরাও মেতেছিল আবির খেলায়। ওই জেলেই বন্দি রয়েছেন রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। একে অন্যকে রঙ মাখাতে মাখাতে বন্দিরা কড়া নাড়লেন দুই মন্ত্রীর দরজায়। আর তারপরই সেকি কাণ্ড।
সংশোধনাগারের হেভিওয়েট বন্দিদের রঙ দিতে গিয়ে চাপে চাপান্ত সাধারণ বন্দিরা। দোলের দিন কয়েকজন বন্দি মিলে রঙ মাখাতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ‘দাদা, হ্যাপি দোল’ বলে কপালে আবির দিতে যেতেই রেগে কাঁই দুই মন্ত্রী। এক চিৎকার করে পার্থ বলেন, ‘এখান থেকে গেলি, সব পাকা ছেলেপুলে, সাহস তো কম না।’
অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় মেজাজ দেখিয়ে বলেন, ‘ভাই, ভাল কথায় বলছি, মন মেজাজ ঠিক নেই, দয়া করে এখান থেকে চলে যা।’ তবে বন্দিরাও নাছোড়বান্দা। পার্থ-বালুকে রঙ না লাগিয়ে তারা যাবেন না। প্রাক্তন মন্ত্রীদের মেজাজ শুনে বন্দিরা বলেন, ‘দাদা, মন খারাপ করলে চলবে? দোলের দিন একটু আবির খেলা হবে না?’ এরপরই অন্য বন্দিরা পেছন থেকে গান শুরু করেন,’ খেলব হোলি রঙ দেবো না তাই কখনও হয়।’
বন্দিদের হই-হুল্লোড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পার্থ-বালু। এরপর পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেখে কথা না বাড়িয়ে কেটে পড়েন বন্দিরা। তবে যাওয়ার আগে ফের একবার চিৎকার করে বলেন, ‘দাদা হ্যাপি দোল’। এদিকে এত চিৎকার শুনে ছুটে আসেন কারারক্ষীরা। তাদের পেয়েই পার্থ–বালুর অভিযোগ, ‘এখানে কী হচ্ছে? এসবের মানে কী? দেখার এখানে কেউ নেই।’
আরও পড়ুন: গোয়েন্দা রিপোর্টে মারাত্মক আশঙ্কা! সন্দেশখালির রেখাকে দেওয়া হবে Y ক্যাটেগরির নিরাপত্তা!
এরপর দুই মন্ত্রীকে শান্ত করান কারারক্ষীরা। আর যাতে এই পরিস্থিতি না হয় তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয় তাদের। প্রসঙ্গত, গত বছর এভাবে দোল কাটান নি জ্যোতিপ্ৰিয়। সেই সময় তিনি মন্ত্রী ছিলেন। এই দিনটিতে তাকে ঘিরে দলের নেতা-কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকত তুঙ্গে। মিষ্টি, আবির, শ্রদ্ধা, প্রণাম, কোলাকুলি, হাসি-ঠাট্টায় কাটত এই দিন। পার্থর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হত না। এই বিশেষ দিনটিতে তাকে ঘিরে থাকতেন দলীয় কর্মীরা। আজ সেসব কিছুই নেই। শুধুই আছে চোখের জল আর দীর্ঘশ্বাস।