বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলা! যার অন্যতম অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত বছর ২৩ জুলাই তার নাকতলার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তারপর একটা গোটা বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলবন্দি তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব।দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে বারংবার জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নেতা। তবে প্রভাবশালী তত্ত্বে মেলেনি সুরাহা। আর এবার নয়া যুক্তি খাড়া করে জামিনের আরজি নিয়ে হাজির প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।
শুক্রবার জামিনের আবেদনের শুনানিতে সিবিআই (Central Bureau Of Investigation) বলে, ‘‘নিয়মের ভেঙে একাধিকবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি তথা নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়াদ বাড়িয়েছেন এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক কী কারণে তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল সেই সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই। আর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে সেই দফতরের সমস্ত বিষয় পার্থ দেখতেন। তাই উনি দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না।’’
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আসছে বিরাট পরিবর্তন! চাপে পড়বে পড়ুয়ারা?
এদিকে পাল্টা পার্থের আইনজীবী বলেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা কল্যাণময় বলে নয়। শিক্ষকদের বয়স ৬০ থেকে ৬২ এবং পরবর্তী কালে ৬৫ করার সিদ্ধান্ত সরকারই নিয়েছিল।’’ তার মক্কেলের জামিনের বিরোধিতা করে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা সরকারেরই সিদ্ধান্ত ছিল। তাহলে তার জামিন কেন আটকে থাকবে!
পার্থের আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কল্যাণময়ের মেয়াদ বৃদ্ধির অভিযোগ আনা হলেও সেই সময় তো শুধু ওর মেয়াদ বাড়ানোহয়নি। অনেকের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ওই একজনের যুক্তিতে জামিনের বিরোধিতা করা যায় না।’’
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার বিরাট পাল্টি! ফের ঘূর্ণাবর্তের হুঙ্কার, হবে তোলপাড়, লেটেস্ট ওয়েদার আপডেট
চুপ করে থাকেননি পার্থ। এরপর তিনি নিজে বলেন, ‘‘সরকারই শিক্ষকদের বয়স ৬০ থেকে ৬২, পরবর্তী কালে ৬৫ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। উপাচার্যদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ করা হয়েছিল। বিভিন্ন বোর্ড এবং কমিশনেও একই হয়েছে। এসব একক সিদ্ধান্ত নয়। গোটাটাই সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণেই হয়েছে।’’ অর্থাৎ পার্থের নিশানায় ফের একবার রাজ্য সরকার।
পার্থের দাবির পরই আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই। বিচারপতি বলেন, ‘‘চার্জশিটে বহু নাম রয়েছে। এফআইআরেও এক ব্যক্তির নাম রয়েছে, যিনি ফেরার নন অথচ বাইরে আছেন। সিবিআই চার্জশিটে থাকা কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, কয়েক জনকে ধরছে না। আপনাদের জন্য বাকিরা তো আকাশে উড়ছে!” প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে একাধিকবার বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই।