বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসসি কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই একের পর এক বিড়ম্বনা যেন পিছুই ছাড়ছে না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এদিনও সকাল ১১ টা নাগাদ দ্বিতীয় বারের জন্য সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আয়ের এবং আয়করের পরিমাণ কত তা জানতে চেয়েই আয়কর দপ্তরকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। তারপরই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে তৈরি হল আর এক দফা বিতর্ক।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দপ্তরে তলবের সঙ্গে সঙ্গেই জল্পনা এবং বিতর্ক ছড়ায় তাঁর সম্পত্তি এবং আয়কে ঘিরেও। এর আগেই পোষ্যের নামে শিক্ষামন্ত্রীর ফ্ল্যাটের কথাও প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার অবশ্য বিতর্কের বিষয়বস্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার একটি স্কুল এবং বাগানবাড়ির মালিকানা।
সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে ঘিরেই সূত্রপাত বিতর্কের। সেই প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয় যে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের ক্ষীরিন্দা মৌজায় ১৫ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা বিশাল ইংরাজি মাধ্যম স্কুল বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল নাকি তৈরি করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে। স্থানীয়দের দাবি, লকডাউনের সময় এখানে শিল্প আনার নাম করে ওই এলাকায় জমি কিনতে শুরু করেন নারায়ণ দে নামের এক ব্যক্তি। প্রতি কাঠা প্রায় ১০ লক্ষ টাকা এবং বিঘাপ্রতি ১ কোটি টাকায় কেনা হয় জমি। চলতি দরের চেয়ে বেশি দর পেয়ে স্বভাবতই জমি বিক্রি করে দেন বহু মানুষ। তারপরই দেখা যায় শিল্পের বদলে সেখানে তৈরি হয়েছে একটি ঝাঁ চকচকে বিশাল স্কুল ও বাগানবাড়িত। প্রায় দেড় লক্ষ বর্গফুট জায়গায় গড়ে ওঠা ওই সম্পত্তির মোট মূল্য এখন প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
পিংলার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ‘মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানেই এই স্কুল বলে আমরা জানি। নোটবন্দির সময়ে জমি কেনা হলেও চাকরির প্রতিশ্রুতি বিশ বাঁও জলে! স্কুল বাদেও পাশাপাশি আরও দুটি প্লটে জমি কিনে তৈরি হয়েছে বাগানবাড়ি। সব মিলিয়ে জমি ২৭ বিঘা অর্থাৎ ৫৪০ কাঠা! যার বাজার মূল্য এই মুহুর্তে ৪৫ কোটি টাকার কাছাকাছি। এই স্কুলে উনি নিজে অনেকবার এসেছেন। বর্তমানে, ওঁর জামাই আছেন দায়িত্বে।’ যদিও এই অভিযোগ মানতে রাজি নয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের পালটা দাবি, এলাকায় আন্তজার্তিক মানের স্কুল করলে বরং এলাকার উন্নতিই করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও বিষয়টিকে তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় বলেও দাবি করেছেন নেতারা।