বাংলাহান্ট ডেস্ক: দু ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে সিনেপ্রেমীরা। একদল দেখছে ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাদি’ (Gangubai Kathiawadi), অন্যদল মজে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’এ। রাজনীতিতেও বিভেদটা সুস্পষ্ট। বঙ্গ বিজেপি যখন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্দশার সত্য ঘটনার কাহিনি দেখতে ব্যস্ত, তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মুখে উঠে এল আলিয়া ভাটের নাম।
কাশ্মীর ফাইলসের প্রতাপের মাঝেও এখনো টিকে রয়েছে গাঙ্গুবাঈ। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী নিজেই নাইট শো তে গিয়ে দেখে এসেছেন সেই ছবি। তারপর থেকেই তাঁর মনে শুধুই আলিয়া ম্যাজিক। এত কম বয়সে এত সুন্দর অভিনয় কী করে পারলেন মহেশ ভাট কন্যা! বিশ্বাসই করতে পারছেন না মন্ত্রী।
ছবির কিছু কিছু অংশ এবং সংলাপ বিশেষ ভাবে মনে ধরেছে রাজ্যের শাসক দলের মন্ত্রীর। যেমন একটি দৃশ্যে রাজনীতির মঞ্চে পা রেখেছেন গাঙ্গুবাঈ রূপী আলিয়া। কিন্তু উঠে দেখলেন তিনি দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেবেন। অথচ জনতা নীচে বসে শুনবে। সঙ্গে সঙ্গে নিজের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করলেন গাঙ্গু।
মঞ্চের উপরে বসে তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার দৃপ্ত ভঙ্গিমা মন ছুঁয়ে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অবশ্য রহিম লালা ওরফে অজয় দেবগণের অভিনয়ও ভোলেননি তিনি। সেই সঙ্গে আলিয়ার অনবদ্য পারফরম্যান্স ও ছবির নেপথ্যের জাদুকর সঞ্জয় লীলা বনশালীকেও কুর্নিশ জানিয়েছেন মন্ত্রী।
রাজ্য রাজনীতিতেও যে বিনোদন জগতের ছায়া পড়ছে তা আগেও স্পষ্ট হয়েছে। ‘পুষ্পা’র সংলাপ বলতে, আল্লু অর্জুনের অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা গিয়েছিল তাবড় রাজনৈতিক নেতাদের। পুষ্পা অবশ্য এখন বিদায় নিয়েছে, তবে সিনেমা নিয়েও বিরোধী রাজনীতি ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে।
একদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেমন গাঙ্গুবাঈ এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বিজেপি কিন্তু কাশ্মীর ফাইলসের দিকেই ঝুঁকেছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় অধিবেশন শেষ হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে পরিষদীয় দল একটি বাস ভাড়া করে বিবেক অগ্নিহোত্রীর সিনেমা দেখতে পৌঁছায়। বিরোধী দলনেতা এদিন বলেন, একুশের বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের উপরে যে অত্যাচার করা হয়েছিল সেটা নিয়েও একটি ছবি বানানো উচিত।