বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ দুই বছর জেল হেফাজতে থাকার পর অবশেষে কারামুক্ত হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর শিক্ষা দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তিনি ২০২৫ সালের ১০ নভেম্বর জেল থেকে মুক্তি পান। পরের দিন, ১১ নভেম্বর বেহালার বাড়িতে ফেরেন পার্থ।
পার্থর (Partha Chatterjee) ফেরার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী জেল বা তদন্তকারী এজেন্সির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তির তথ্য পাঠানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুক্তি পাওয়ার পরেও প্রায় এক মাস ওই তথ্য বিধানসভায় পৌঁছয়নি বলে জানা যায়। অবশেষে কয়েক দিন আগে জেল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে পার্থর মুক্তির খবর জানায়। এরপর থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে কোন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে তাঁকে রাখা হবে?
প্রথম স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)
প্রসঙ্গত, বিধানসভায় মন্ত্রীরা ছাড়া সব বিধায়কই স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হন। সাধারণত প্রত্যেক বিধায়ক দু’টি করে কমিটিতে থাকেন। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ২০১১ সাল থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন, তাই তিনি কোনও কমিটিতে ছিলেন না। ফলে এবারই প্রথম কোনও স্ট্যান্ডিং কমিটিতে তাঁর নাম যুক্ত হতে পারে। এদিকে, বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগ্রহও জানিয়েছেন পার্থ। অধিবেশন কবে শুরু হবে, তা জানতে তিনি স্পিকারকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন।

তবে এর মধ্যেই ঘটে যায় অন্য ঘটনা। বাড়ির শৌচালয়ে পড়ে গিয়ে বাম হাতের হাড়ে চিড় ধরেছে তাঁর (Partha Chatterjee)। শিগগিরই অপারেশন হওয়ার কথা। এখন তিনি মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সব মিলিয়ে, মুক্তির পর বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ভূমিকা এবং কোন কমিটিতে তাঁকে রাখা হবে, তা নিয়ে এখনই জোর আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।












