বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটা সময় সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনই ছিল তৃণমূলের মূল সুর। আজও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন ‘ফসলি জমিতে টাটার কারখানার’ বিরোধিতা করেই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল ঘাসফুল শিবির। শেষ পর্যন্ত, সরকারের বিরুদ্ধে অখুশি হয়েই বাংলা ছেড়েছিলেন রতন টাটা (Ratan Tata)। সেকথা কার্যত জানিয়ে যেতেও দ্বিধা করেননি তিনি।
তবে তৃণমূলে এবার তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই সুর বদলেছে। কার্যত এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন, কলকাতায় টাটা সেন্টার তৈরি করতে উদ্যোগী টাটা। সেই সূত্র ধরে একাধিকবার মুখ খুলেছেন শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha Chattopadhyay)। কিছুদিন আগেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাদের লড়াই টাটার বিরুদ্ধে ছিল না বরং ছিল বামেদের ভুল জমি নীতির বিরুদ্ধে।
এদিনও ফের একবার সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “টাটারা আমাদের শত্রু নয়, অনিচ্ছুক কৃষকদের কাছ থেকে বহু ফসলি জমি নেওয়া হয়েছিল। আমরা জমির স্থান বাছাই নিয়ে বলেছিলাম। টাটার নানা বিজনেস তখনও এখানে ছিল। টাটারা আসলে খুশি হব। অনেক শিল্প আছে রাজ্যে যারা বিনিয়োগ করেছে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য বাংলার কর্মসংস্থান। সেটাই আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, এই মন্তব্যের মাধ্যমে কার্যত সিঙ্গুরের ক্ষতে প্রলেপ লাগালো বাংলার শাসক দল। তিনি আরও জানিয়েছেন টাটার কোন প্রপোজাল থাকলে তাকেও স্বাগত জানাবেন তারা। তার মতে বাংলায় তৃণমূল অবশ্যই শিল্পায়ন চায়। তবে তা কৃষি এবং শিল্পের সমন্বয়ে। শুধু টাটা নয় পাশাপাশি এদিন রিলায়েন্সের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। একুশের ভোটে রাজ্যে একটি বড় ইস্যু ছিল বেকারত্ব, অনেকের মতে এই সমস্যার সমাধানে এখন রীতিমতো মরিয়া তৃণমূল। আর সেই কারণেই টাটার কাছে তাদের এই মরিয়া বার্তা।