বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটা সময় সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্থান ঘটেছিল মমতা ব্যানার্জীর। ২০০৬ সালে বামফ্রন্টের ভুল নীতির কারণে বেঁকে বসেছিলেন কৃষকরা। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতাও। যার জেরে ক্ষমতার অল ইন্ডিয়া তৃণমূল প্রবেশ করেছিল ঠিকই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে গিয়েছিল টাটা। রতন টাটার চলে যাওয়ার পর থেকে, পশ্চিমবঙ্গে বড় ধরনের কোন শিল্প বিনিয়োগ বন্ধ বললেই চলে।
দেখতে দেখতে এই ঘটনার প্রায় ১৩ বছর কেটে গিয়েছে। এবার সেই টাটাকেই আবার পশ্চিমবঙ্গে ফেরাতে তৎপর মমতা সরকার। কিন্তু কথা হলো তিনি কি আবার ফিরবেন। কৃষকদের জমি বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই চালানের কারখানা গুটিয়ে নিয়ে তার চলে যাওয়া তা কার্যত জানিয়ে গিয়েছিলেন রতন টাটা। এখন সেই ঘটনার ১৩ বছর পরে আবার কি পশ্চিমবঙ্গে পা রাখবে গোষ্ঠী? শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতে শুধু পা রাখাই নয় বাংলায় বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চেয়েছে তারা। তথ্য প্রযুক্তি সচিবই তাকে এ খবর দিয়েছেন।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘টাটাদের সঙ্গে আমাদের কোনও শত্রুতা নেই ৷ আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করিনি ৷ তারা দেশে ও বিদেশে অন্যতম সম্মানীয় ব্যবসায়িক সংস্থা ৷ আপনি টাটাদের দোষ দিতে পারেন না৷ সমস্যাটা ছিল বামফ্রন্ট সরকার এবং তাদের জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে ৷ বাংলায় বিনিয়োগের জন্য টাটা গোষ্ঠীকে সব সময় স্বাগত৷’’
কিছুদিন আগেই বাংলায় টাটা যে একটি টাটা সেন্টার তৈরি করতে চায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এবার কার্যত একই কথা জানালেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তাদের মতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ভুল জমিনীতির জন্যই তারা প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন। জমি অধিগ্রহণ নীতি যে ভুল ছিল তা প্রমাণিত হয়েছিল আদালতেও। পার্থবাবু পরিষ্কার জানান, সিঙ্গুরে এক্ষেত্রে জমি দিতে রাজি নন তারা। ওটি কৃষিভিত্তিক এলাকা ওখানে কৃষিভিত্তিক শিল্প হবে। তবে অন্যক্ষেত্রে টাটার জন্য সুবিধা এবং ছাড়ের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।