বাংলাহান্ট ডেস্ক: সপ্তাহান্তে বড় ক্ষতির মুখে বাংলা সংষ্কৃতি জগৎ। প্রয়াত প্রখ্যাত বাচিকশিল্পী পার্থ ঘোষ (Partha Ghosh)। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। শনিবার সকাল সাতটা ৩৫ মিনিট নাগাদ শহরের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন শিল্পী। হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে গলায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তাঁর। তারপর শারীরিক পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। আইসিইউতে রাখা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। শনিবির ভোরেই চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে চিরতরে চোখ বোজেন শিল্পী।
‘কর্ণ-কুন্তী সংবাদ’ এর কেউই আর রইলেন না। কুন্তী আগেই চিরবিদায় নিয়েছেন। এবার সেই পথেরই শরিক হলেন কর্ণও। ২০২১ এ প্রয়াত হন শিল্পী পার্থ ঘোষের স্ত্রী খ্যাতনামা বাচিকশিল্পী গৌরী ঘোষের। বহু বছর ধরে দম্পতির কণ্ঠের জাদু মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিল শ্রোতাদের।
আকাশবাণী কলকাতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দুজনেই। পার্থ ঘোষের কণ্ঠে ‘দেবতার গ্রাস’, ‘বিদায়’, ‘শেষ বসন্ত’ বিশেষ জনপ্রিয় ছিল। স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে ‘প্রেম’, ‘জীবন বৃত্ত’ এর মতো বেশ কিছু শ্রুতি নাটক করেছিলেন। তবে ‘কর্ণ-কুন্তী সংবাদ’ই তাঁদের জনপ্রিয়তার শীর্ষে তুলেছিল।
পার্থ ঘোষের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘যুগাবসান। অন্য লোকে, অন্য কোনোখানে, পার্থ -দাও… “যেতে নাহি দিব” আমরা বলি, তবু যেতে দিতে হয়।’
শিল্পীর পরিবার সূত্রে খবর, পায়ের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শিল্পী। তারপরেই গলায় একটি পলিপ ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচার সফল হয়। সুস্থও হয়ে উঠছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তা আর হল না। শনিবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তারপরেই সব শেষ। আজই হাসপাতাল থেকে দমদমের বাড়িতে নিয়ে আসা হবে শিল্পীর মরদেহ। তারপর নিমতলা শ্মশানে হবে শেষকৃত্য।