বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি এসএসসি (SSC) দুর্নীতি মামলায় ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গ্রেফতারের ৬ দিনের মাথায় এদিন অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। বিতর্ক বাড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।” তবে কে বা কারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি। আবার অপরদিকে, পার্থের এ বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
উল্লেখ্য, গত শনিবার এসএসসি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। একইসঙ্গে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ কোটির কাছাকাছি নগদ অর্থ এবং একাধিক সোনা গয়না ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছে ইডি; যা নিয়ে অস্বস্তি আরো বেড়েছে পার্থর। তবে এতদিন পর্যন্ত নীরবতা বজায় রাখলেও অবশেষে এদিন মুখ খুললেন তিনি।
আদালতের নির্দেশে এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ-অর্পিতাকে। তবে হাসপাতালের বাইরে যে একাধিক নাটকীয় ঘটনা ঘটতে চলেছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি ইডি অফিসাররা। ইএসআই হাসপাতালে যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে নেমে একপ্রকার মাটিতে বসে পড়েন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেই সময় কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায় তাঁকে।
আবার অপরদিকে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।” তবে কে বা কারা এই ষড়যন্ত্র ঘটিয়েছে, সে প্রসঙ্গে কোন স্পষ্ট মন্তব্য করেননি তিনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, গতকাল তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব এবং অন্যান্য সকল পদ থেকে পার্থকে বহিষ্কার করার পরে এদিন তাঁর এই মন্তব্যের পিছনে রহস্য কি?
প্রসঙ্গত, পার্থের গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর একাধিক পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রেফতারির পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার ফোন করা সত্ত্বেও নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি”, যা ঘিরে পরবর্তীতে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে অ্যারেস্ট মেমোয় মুখ্যমন্ত্রীর নাম লেখা থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক কর্মকাণ্ড নজরে আসে আর এর মাঝে গতকাল তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কার করার পর অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এহেন বক্তব্য শাসকদলের বিশেষ পছন্দ হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, “যদি ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে, তবে আইনের পথ খোলা রয়েছে। উনি তা দেখতে পারেন। তবে প্রথম দিন এই কথাটা বললে পারতেন। এখন কেন এসব কথাবার্তা বলছেন, সেটা উনি জানেন।”