বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) আগেই বলেছিলেন। অকর্মন্যতার অভিযোগে এবার নিম্ন আদালতের ভর্ৎসনার শিকার হল সিবিআই। শুধু আদালত নয়, এদিন সিবিআইকে অকর্মণ্য বলেন অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবীও। অবশ্য সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। তাই তদন্ত করতে এখনও অনেক সময় লাগছে।
বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার পার্থ, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে পার্থর আইনজীবী অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, চার্জশিট দেখে যা বুঝতে পারছি তাতে অদূর ভবিষ্যতে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই। একটি চার্জশিটে ১৬ জন অভিযুক্ত। তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে সিবিআই।
এই বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি চাকরি দিইনি, নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কোথাও যুক্ত ছিলাম না। তাও আমি জেল খাটছি। আমি কেন ভুগব? যে কোনও শর্তে আমাকে জামিন দেওয়া হোক। সিবিআই নিজের অকর্মন্যতা ঢাকতে যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছে।
এদিন বিচারকও সিবিআইয়ের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন। বলেন, আমি এবিষয়ে আপনাদের আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম। জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। কেস ডায়েরি পড়লেই বুঝতে পারবেন।
সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে। সম্প্রতি তারা কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্টে তুলে ধরেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের সম্পত্তির হিসাব। শুধু তাই নয়, ইডির বক্তব্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ বিপুল টাকা ও বহুমূল্যবান গয়না পাওয়া যায়। এমনকী বিপুল টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে ছিল। সিবিআই পার্থর এই সম্পত্তি ও প্রভাবশালী তকমাকেই সামনে রেখে জামিনের বিরোধিতা করে।