বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের চাঁদার জুলুমবাজি। উৎসব আয়োজনে চাঁদাবাজির নির্যাতনের অভিযোগ বাংলায় নতুন নয়। ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ, সবাই এর স্বীকার। গতকাল মঙ্গলবার জেলায় তোলাবাজির সমস্যা কথা স্বীকারও করেছেন বারাকপুরের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এবার তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীকে চাঁদার দাবিতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের (Trinamool Congress) তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের (Soumen Mahapatra) সঙ্গে ক্লাব সদস্যের কথোপকথন একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কী শোনা যাচ্ছে সেখানে? ভাইরাল হওয়া সেই অডিয়ো ক্লিপে নিজেকে নন্দীগ্রামের ভূতামোড় সাথী উৎসবের আয়োজক ও তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে এক ব্যক্তিকে সৌমেনবাবুর সঙ্গে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। ওই ক্লাব সদস্য বলছেন, এবার উৎসব আয়োজনে দলের পক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। পুরোটাই নিজেদের খরচে আয়োজন করতে হয়েছে। এমনকী প্রধান অতিথি হিসাবে সৌমেনবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আসেননি। চাঁদাও দেননি। এই সমস্ত কথা বলতে গিয়েই ক্ষোভ ঝড়ে পড়ে ওই ক্লাব সদস্যের গলায়।
তবে এখনও শেষ নয়, চমকের আরও বাকি। ওই ক্লাব সদস্য বলেন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন ৫০ – ৬০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতেন। এবারই মেজাজ হারান সৌমেনবাবু। শুভেন্দুর নাম শুনেই ক্ষেপে ওঠেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তাহলে তাঁর দলেই চলে যান। পালটা ক্লাব সদস্য বলেন, ভোটের সময় দেখে নেব। এই নিয়ে ফোনেই চলে কথা-কাটাকাটি।
এই নিয়ে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, তৃণমূলের জমানায় একদিকে দুর্নীতি আরেকদিকে কেন্দ্রের টাকায় মেলা – খেলা হয়েছে। এখন দুর্নীতির টাকাও বন্ধ। কেন্দ্রীয় সরকারও হিসাব না দিলে টাকা দেবে না বলে দিয়েছে। এসবের জেরেই আগের মতো দান খয়রাতি আর করা যাচ্ছে না। কিন্তু যে বাঘের পিঠে তৃণমূল উঠেছে তা থেকে তো তাদের নামতেই হবে।
এই বিষয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘শুভেন্দুবাবু জননেতা, তাই রাজনীতির উর্ধে উঠে বিধায়ক কার্যালয় খুলেছেন সকলের জন্য। উদ্যোক্তাদের টাকা দেওয়া নয়, সাহায্য করে পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দুবাবু। যাতে ওই উৎসব আরও বিকশিত হয়। আর তৃণমূলের তো টাকা দিয়ে সব রাজনীতি, সৌমেন বাবুর এত উত্তেজিত হওয়ার কিছু ছিল না, ঠান্ডা মাথায় ওঁদের তো পাশে থাকতেই পারতেন।’